ভ্রমণ
২৩ মার্চ, ২০১৭; নিঃসন্দেহে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি। এইদিন আমরা বেরোবি'র 'ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব' বিভাগ পিকনিকে যাই পাহাড়পুরে। পাঁচটি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অফিস স্টাফ মিলে মোট ৫টি বাস নিয়ে মহোৎসবের এক অনন্য দিবস; ঠিক রাজাদের আনন্দ ভ্রমণের মতোই। ইতিহাস পড়ে হয়তো আমরা ইতিহাস বানাতে পারি না, কিন্তু আমরা ইতিহাসের স্বাদ নিতে পারি এমন কিছু করে তা আমি অনুভব করেছি এইদিন।
এখানে কী আছে ও কতটি কী আছে সে বর্ণনা দিতে চাই না, তা পুস্তকেই পাওয়া যায়; কিন্তু আমি বলতে চাই সেসবের প্রকৃতি কেমন এবং প্রথম দেখায় কেমন অনুভূতি জাগায়।
এখানে শুধু বৌদ্ধ বিহারই নেই, তার পাশে একটি আধুনিক অপূর্ব নান্দনিক বাগান আছে; নান্দনিকতা সমৃদ্ধ রাস্তা, হাওয়াঘর ও জাদুঘর আছে। ঐতিহাসিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক সৌন্দর্য এই দুই এর এক অপূর্ব সম্মিলন এখানে আছে।
কোনো গিফট মোড়ানোর গিফট পেপারের মতোই এখানে এই স্থাপনার বাউন্ডারি প্রাচীর অতি নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে, দেশের অন্য দশটা বাউন্ডারি প্রাচীর থেকে একেবারে ভিন্ন ও মন কাড়ার মতো এবং পর্যটককের হাটার ও বসার জন্য যে রাস্তা ও ছাউনি আছে তা অসাধারণ নান্দনিক কারুকার্যমণ্ডিত করে তৈরি করা হয়েছে।
আমি জীবনে যত স্থানে ভ্রমণে গেছি একবার দেখেই ইচ্ছা ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু পাহাড়পুরে গিয়েই আমার প্রথম এই ইচ্ছা জেগেছে যে, আমি আগামীতে এখানে আবার আসবো 'আবার আসিব ফিরে......। আবার দেখবো এখানকার ঐতিহাসিক সৌন্দর্য, আধুনিক সৌন্দর্য ও পর্যটন সার্ভিসের অবকাঠামোগত উপাদান হাওয়াঘর, রাস্তা, বাগান, জাদুঘর ইত্যাদির শৈল্পিক গঠনকৌশলের নান্দনিকতা।
সুস্বাদু জিনিস বার বার খেতে ইচ্ছে করে, সুন্দর জিনিস বার বার দেখতে ইচ্ছে করে; এটাই স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। যারা সৌন্দর্য পছন্দ করেন তারা এখানে আসবেন অবশ্যই।
সকল অনুভূতির সার নির্যাস এই যে, সেই আমলে যে এত বিশাল বিস্তৃত ও নিখুঁত এক অবকাঠামো নির্মিত হতে পারে তা আমার ধারণা ছিল না। সেই সময়ে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট ছিল না এবং প্রযুক্তি ও প্রকৌশলবিদ্যা এতটা আধুনিক ছিল না। তারপরেও এই বিহারের কেন্দ্রীয় মন্দির এবং তার চারপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে ভিক্ষুদের বাসকক্ষগুলো যেভাবে স্থাপিত হয়েছে এবং বিশাল এলাকাজুড়ে বর্গাকার স্থাপনাটি সেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তাতে কোনো চুল পরিমাণ বাকা নেই, নিখুঁত মাপে তৈরি; যেনো কোম্পানিতে উন্নত মেশিনে তৈরি করা কোনো জিনিস। এত বড় স্থপত্য ডিজাইনার সে সময়ে কে ছিল তা ভাবতে গেলেও অবাক মুগ্ধতায় অন্য ভাবনায় হারিয়ে যায় মন।
পাহাড়পুর আমাকে বার বার ফিরে ডাকবে, মুগ্ধ অনুভূতি উৎপাদিত হবে স্মৃতি থেকে...।
-মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
২৩ মার্চ, ২০১৭; নিঃসন্দেহে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি। এইদিন আমরা বেরোবি'র 'ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব' বিভাগ পিকনিকে যাই পাহাড়পুরে। পাঁচটি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অফিস স্টাফ মিলে মোট ৫টি বাস নিয়ে মহোৎসবের এক অনন্য দিবস; ঠিক রাজাদের আনন্দ ভ্রমণের মতোই। ইতিহাস পড়ে হয়তো আমরা ইতিহাস বানাতে পারি না, কিন্তু আমরা ইতিহাসের স্বাদ নিতে পারি এমন কিছু করে তা আমি অনুভব করেছি এইদিন।
এখানে কী আছে ও কতটি কী আছে সে বর্ণনা দিতে চাই না, তা পুস্তকেই পাওয়া যায়; কিন্তু আমি বলতে চাই সেসবের প্রকৃতি কেমন এবং প্রথম দেখায় কেমন অনুভূতি জাগায়।
এখানে শুধু বৌদ্ধ বিহারই নেই, তার পাশে একটি আধুনিক অপূর্ব নান্দনিক বাগান আছে; নান্দনিকতা সমৃদ্ধ রাস্তা, হাওয়াঘর ও জাদুঘর আছে। ঐতিহাসিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক সৌন্দর্য এই দুই এর এক অপূর্ব সম্মিলন এখানে আছে।
কোনো গিফট মোড়ানোর গিফট পেপারের মতোই এখানে এই স্থাপনার বাউন্ডারি প্রাচীর অতি নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে, দেশের অন্য দশটা বাউন্ডারি প্রাচীর থেকে একেবারে ভিন্ন ও মন কাড়ার মতো এবং পর্যটককের হাটার ও বসার জন্য যে রাস্তা ও ছাউনি আছে তা অসাধারণ নান্দনিক কারুকার্যমণ্ডিত করে তৈরি করা হয়েছে।
আমি জীবনে যত স্থানে ভ্রমণে গেছি একবার দেখেই ইচ্ছা ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু পাহাড়পুরে গিয়েই আমার প্রথম এই ইচ্ছা জেগেছে যে, আমি আগামীতে এখানে আবার আসবো 'আবার আসিব ফিরে......। আবার দেখবো এখানকার ঐতিহাসিক সৌন্দর্য, আধুনিক সৌন্দর্য ও পর্যটন সার্ভিসের অবকাঠামোগত উপাদান হাওয়াঘর, রাস্তা, বাগান, জাদুঘর ইত্যাদির শৈল্পিক গঠনকৌশলের নান্দনিকতা।
সুস্বাদু জিনিস বার বার খেতে ইচ্ছে করে, সুন্দর জিনিস বার বার দেখতে ইচ্ছে করে; এটাই স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। যারা সৌন্দর্য পছন্দ করেন তারা এখানে আসবেন অবশ্যই।
সকল অনুভূতির সার নির্যাস এই যে, সেই আমলে যে এত বিশাল বিস্তৃত ও নিখুঁত এক অবকাঠামো নির্মিত হতে পারে তা আমার ধারণা ছিল না। সেই সময়ে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট ছিল না এবং প্রযুক্তি ও প্রকৌশলবিদ্যা এতটা আধুনিক ছিল না। তারপরেও এই বিহারের কেন্দ্রীয় মন্দির এবং তার চারপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে ভিক্ষুদের বাসকক্ষগুলো যেভাবে স্থাপিত হয়েছে এবং বিশাল এলাকাজুড়ে বর্গাকার স্থাপনাটি সেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তাতে কোনো চুল পরিমাণ বাকা নেই, নিখুঁত মাপে তৈরি; যেনো কোম্পানিতে উন্নত মেশিনে তৈরি করা কোনো জিনিস। এত বড় স্থপত্য ডিজাইনার সে সময়ে কে ছিল তা ভাবতে গেলেও অবাক মুগ্ধতায় অন্য ভাবনায় হারিয়ে যায় মন।
পাহাড়পুর আমাকে বার বার ফিরে ডাকবে, মুগ্ধ অনুভূতি উৎপাদিত হবে স্মৃতি থেকে...।
-মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন