রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে! কেমন অদ্ভুত মিল তাই না?

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে!
কী অদ্ভুত মিল!
আমি লিখলাম ঠিকই, কিন্তু প্রথম আলো তা ছাপালো একটু ভিন্নভাবে। আমার সম্পূর্ণ লেখাটাকে দুই ভাগ করে দুই শিরোনামে দুই অংশে ছাপালো। এই বিষয়টিতেই আমার একটি আক্ষেপ থেকে গেল। আমি লিখলাম হিস্টোরি, প্রথম আলো সেটাকে বানালো স্টোরি!

প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র "অধুনা" এর "মনের বাক্স" বিভাগে আমি যা লিখলাম এবং তারা যা ছাপালো দেখে নিন:

আমি‬ লিখেছিলাম:

তুমি কি ফিরে আসবে?

অন্তরা,
তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।
এখন আমি কী করবো?
ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।


প্রথম‬ আলো যা ছাপালো:

১. (পরের লেভেলে)

তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


২. (পূর্বের লেভেলে)

এখন আমি কী করবো?

ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।

প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৬।

 ধন্যবাদ...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন