মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

বেরোবি'র কাশসমুদ্র!

ক্যাম্পাস


দূর থেকে দেখলে হয়তো বিল কিংবা জলাধার মনে হবে, আরেকটু এগোলে হয়তো মনে হবে সাদা চাদরে মোড়ানো এক স্বপ্নিল ভূমি। কিন্তু না, এটা আসলে বেরোবি'র কাশসমুদ্র। এই মৌসুমে বেরোবিতে শুভ্র সৌন্দর্য মেলে দিয়ে কাশফুল নয়নের প্রাপ্তি পূরণ করছে প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রেমিকদের। ছাত্র হল দুটির পশ্চিমে বিশাল ফাঁকা মাঠে এখন কাশফুলের সমারোহ। দেখে মনে হবে হয়তো পরিচর্যা করে আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু না, এমনিতেই হয়ে গেছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য; গিফট অব ন্যাচার।

আমারও হয়তো বেরোবিকে দেখে মাঝে মাঝে প্রকৃতির কবি জন কেটস হতে ইচ্ছে করে। এখন বেরোবির সৌন্দর্য সাদা কাশফুল, আর কয়েকদিন পর আসবে লাল কৃষ্ণচূড়া, আর আসবে বৃষ্টির পানিতে সতেজ হয়ে উঠা সবুজ গালিচা বিরুৎ উদ্ভিদের সমারোহ।
বর্ষায় বেরোবিতে যখন বিভিন্ন নিচু স্থানগুলোতে পানি জমে তখন বেশ ছবির মতো সুন্দর মনে হয় স্থানগুলো, রাতে ব্যাঙের ডাক তো আছেই।

বেরোবির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এদেশে খুব কমই আছে। এই সৌন্দর্যের কিছু অংশ তুলে ধরতেই ফেসবুকে খোলা হয়েছে "বিউটি অব বিআরইউআর" নামক পেজ।

বেরোবি মানে রঙ্গমঞ্চ, বেরোবি মানে সবুজ গালিচা, দেবদারুর অতিথিবরণে দাড়নো, কৃষ্ণচূড়ার পুষ্পতে অতিথি বরণ, কাশফুলের বিছানা, আছে জলাধার, ব্যাঙ্গের ডাক, শেষরাতে শেয়ালের হাক।
মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা "আমাদের ছোটনদী...হাটু জল...কাশফুল...শেয়ালের হাক..."।

সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে থাকতে থাকতে রোমান্টিক হয়ে যাওয়া আর ঘুমানোর পূর্বে বিছানায় মাথা রেখে ভালোবাসার মানুষকে এসএমএস দেওয়া: 
 
স্নিগ্ধ বিকেল, শান্ত রোদ, কুয়াশা ভেজা মধুর সকাল, জ্যোৎস্না মোহিত রাত, নিঝুম রাতের ঝুম বৃষ্টি, ব্যাঙের ডাক, পাখির গান, প্রজাপতির নাচ, আধারে জোনাকির আলো, পাকা আমের গন্ধ, পাহাড়ি ঝরনার শব্দ, রংধনুর সাতরং, গোলাপের সৌরভ, শরতের কাশফুল, সাগরের ঢেউ, মেহেদি রাঙ্গা হাত, দুষ্টু রাগ, অনেক অনেক
স্বপ্ন
আনন্দ
ভালোবাসা
ও প্রেমময় জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তোমাকে জানাই "শুভরাত্রি"।


বেরোবি এক স্বপ্নময় শিক্ষাভুবন।


- মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

ধন্যবাদ...।


রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে! কেমন অদ্ভুত মিল তাই না?

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে!
কী অদ্ভুত মিল!
আমি লিখলাম ঠিকই, কিন্তু প্রথম আলো তা ছাপালো একটু ভিন্নভাবে। আমার সম্পূর্ণ লেখাটাকে দুই ভাগ করে দুই শিরোনামে দুই অংশে ছাপালো। এই বিষয়টিতেই আমার একটি আক্ষেপ থেকে গেল। আমি লিখলাম হিস্টোরি, প্রথম আলো সেটাকে বানালো স্টোরি!

প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র "অধুনা" এর "মনের বাক্স" বিভাগে আমি যা লিখলাম এবং তারা যা ছাপালো দেখে নিন:

আমি‬ লিখেছিলাম:

তুমি কি ফিরে আসবে?

অন্তরা,
তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।
এখন আমি কী করবো?
ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।


প্রথম‬ আলো যা ছাপালো:

১. (পরের লেভেলে)

তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


২. (পূর্বের লেভেলে)

এখন আমি কী করবো?

ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।

প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৬।

 ধন্যবাদ...

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

Syllabus for DU Kha Unit Admission Test

সিলেবাস!



[] বাংলা

ক.→ সাহিত্য
5★
o সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত পাঠ্যসমূহ এবং এর লেখক পরিচিতি, ব্যাকরণ ও ভাষাজ্ঞান অংশ।

3★
o বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

2★
o বাংলা পাঠ্যসমূহ (প্রকাশক, প্রকাশকাল ও প্রকাশিত বিশেষ লেখাসমূহ)


1★
o বাংলা ভাষা
o বাংলা ভাষার বংশগত শ্রেণীবিভাগ



খ.→ ব্যাকরণ ও ভাষাজ্ঞান
5★
o ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান
o সন্ধি
o সমাস
o উপসর্গ
o অনুসর্গ
o বাংলা বানানরীতি→ (শেখার জন্য)
o শব্দের শ্রেণীবিভাগ
o ধ্বনির পরিবর্তন
o শব্দ শুদ্ধিকরণ
o বাক্য শুদ্ধিকরণ
o ধাতু
o ক্রিয়াপদ
o ক্রিয়ার ভাব
o সমাপিকা, অসমাপিকা ও যৌগিক ক্রিয়ার প্রয়োগ
o শব্দ গঠন
o বাংলা শব্দ সম্ভার
o সমার্থক শব্দ
o বিপরীতার্থক শব্দ
o পারিভাষিক শব্দ
o অনুবাদ
o এক কথায় প্রকাশ।


4★
o প্রকৃতি ও প্রত্যয়
o নির্ধারক বিশেষণ
o সাপেক্ষ সর্বনাম
o বাক্য প্রকরণ
o কারক ও বিভক্তি
o বাচ্য
o বাগধারা
o প্রবাদ প্রবচন→(কিন্তু বুদ্ধি করে উত্তর করতে হবে)

3★
o দ্বিরুক্ত শব্দ
o বাংলা অনুজ্ঞা
o পুরুষ
o ক্রিয়া বিভক্তি

2★
o সংযুক্ত ব্যাঞ্জন বর্ণ
o বিরাম চিহ্ন
o বচন
o পদ ও পদের শ্রেণীবিভাগ
o ক্রিয়ার কাল
o ধাতুর গণ


1★
o বাংলা ব্যাকরণ ও এর প্রয়োগবিধি
o ধ্বনি প্রকরণ
o পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ
o সংখ্যাবাচক শব্দ
o ভাষারীতি রূপান্তর
o পদাশ্রিত নির্দেশক
o একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগ
o বাক্যে পদসংস্থাপনার ক্রম
o সমোচ্চারিত শব্দ
o পদ পরিবর্তন
o সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ
o বাক্য রূপান্তর
o উচ্চারণ
+ বিবিধ।


[] English

A.→Literature
5★
o Stories and Poems of the Text Book, Analysis of the works and writers.
o Grammar and Language knowledge based on the Text Book.


B.→Grammar and LK
5★
o Forms of word (Form Selection)
o Correct Sentence Selection
o Using Right Forms of Word
o Right Forms of Verb
o Subject-Verb Agreement
o Either__ or/ Neither__ nor
o Tag Question
o সঠিক ইংরেজি অনুবাদ
o Appropriate Preposition
o Linking Words
o Synonym
o Antonym
o Correct Spelling

4★
o Conditional Sentence
o Use of Articles
o Idioms and Phrases
o Group Verbs

3★
o Parts of Speech
o Noun (Countable and Uncountable Noun)
o Kinds of, Type of, One of
o Sentence Correction
o Classification of Verbs
o Sequence of Tense
o Inversion
o Nominal That Clause
o Embedded Question
o Conjunction in Details
o Infinitive, Gerund and Participle in Details
o Modal Auxiliaries
o Causative Verbs
o Comparison of Adjective & Adverbs
o Parallelism
o Agreement
o Subjunctives


2★
o Affix
o Pronoun in Details
o Adjective in Details
o Adverbs in Details
o Sentence Completion
o Analogy
o Classification of Clause
o Adjective Clause
o Reduced Adjective Clause
o Adverb Clause
o Reduced Adverb Clause
o Dangling Modifier
o General Preposition
o Number

1★
o Voice
o Degree of Adjective
o Gender
o Direct and Indirect Speech


বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬

তেতুলিয়ায় একদিন

ভ্রমণ!





এটা ছিল আমাদের বিভাগের পিকনিক। বেরোবি'র "ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব" বিভাগ ১৩ই মার্চ ২০১৬ তে যাত্রা শুরু করলাম তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। দুপুরের আগেভাগে তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে গাড়ি থামিয়ে রান্নার জিনিসপত্র নামিয়ে নেওয়া হলো এবং বাবুর্চিরা নেমে কাজে লেগে পরলো। সংগত কারণেই এ আয়োজনে আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী স্যার ছাড়া অন্য কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকতে পারেন নি; তিনি স্ত্রী সন্তান সহ ছিলেন। যাহোক ডাকবাংলো থেকে গাড়ি এবার বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্টে ছেড়ে দিল। গাড়ি বাংলাবান্দায় থামলে এবার আমরা নেমে জিরো পয়েন্টে গিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম।

জায়গাটা বেশ উন্নত লাগছিল। উন্নত রাস্তা, উন্নত পরিষ্কার ভবন আশেপাশে। ভারত হতে গাড়ি ঢুকছে বাংলাদেশে। বিজিবির একজন সদস্য ড্রাইভারের আইডেন্টিটি চেক করে করে ঢোকাচ্ছিলেন। এলাকাটা একদম ভিন্ন এবং চীন দেশের মতো মনে হচ্ছিল। অল্প কিছু দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া এবং তার ওপাশে ভারতীয় বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি ও টেলিযোগাযোগ লাইনের স্তম্ভ। ছবির মতো সুন্দর! ভালই লাগছিল। তবে এখানে অনেক শ্রমিক পাথর
ভাঙ্গার কাজ করছিল ইট ভাঙ্গার মেশিনে। মেশিনের ইয়ার ক্লিনার খুলে সেখানে পাইপ লাগিয়ে উঁচুতে তা সেট করে রাখা হয় পতকা টানানোর মতো করে।

সেখান থেকে ফিরে আমাদের মিশন শুরু হলো ডাকবাংলোর পাশের মহানন্দা নদীর উপরে চরের বালিতে হাঁটা। নদীর ওপাশে ভারতীয়দের চা এর জমি; নদীর মাঝামাঝি দিয়ে সীমানারেখা কারণ, ভারতীয়রা কাঁটাতারের বাইরেও কিছু অংশ নিজেদের সীমানা রেখে বেড়া দেয়। নদীর কিছু অংশে চর কিছু অংশে পানি। কোথাও হাটু পানি কোথাও প্রায় কোমর খানেক। আমাদের ৬ষ্ঠ ব্যাচের দুরন্ত ছেলেরা ব্যাগ হতে স্টক কাপড় বের করে পড়ে নিয়ে গোসল ও দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দিল। স্বচ্ছ পানি; যেখানে পানি হাটুখানেক বা তার নিচে সেখানে পানির নিচের বালি দেখা যায়। অনেকে কক্সবাজারে ছবি তোলার মতো ছবি তুলতে শুরু করে দিল আর এভাবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টার সদ্ব্যবহার করতে শুরু করলো। সেলফি, ফটো, হাটাহাটি দিয়েই এ সেশন শেষ হলো।

এরপরের সেশন শুরু হলো ভ্যানে উঠে। দূর থেকে দার্জিলিং ব্রিজ দেখে আর একটু সামনে এগোনো শুরু হলো। একটু দূরে গিয়ে ভারতীয়দের চা বাগানে যাওয়া হলো। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে গিয়েছিলাম, বেশিক্ষণ থাকা যাবে না ওখানে। একটি সরু নালা, তার এপাশে বাংলাদেশ ওপাশে ভারত। চা বাগানের চা গাছগুলোর আকৃতি দেখতে দারুণ সুন্দর লাগলো; বনসাই এর মতো। উপর থেকে দেখলে একমাপে ছেঁটে দেওয়া। নিচ থেকে গাছের গোড়াগুলো দেখতে চেষ্টা করলাম। শ্যাম্পুর এ্যাড এর মতো সব গাছের সুন্দর স্থাপন ও সুনিপুণ অবস্থান। অপরূপ সুন্দর!

সেখানে থেকে ফিরে আর কিছু দেখার বাকি থাকলো না। বিকেল চারটার দিকে তিন পর্বে ভোজনপর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় লটারি ড্রর মধ্য দিয়ে আমাদের আয়োজন শেষ। স্মৃতিতে স্থান করে নিলো একটি স্বপ্নিল ভ্রমণ।
বাই বাই তেতুলিয়া, সি মোর এগেইন উইথ মাই বিলাভড....।

-মোঃ মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।