ভ্রমণ!
এটা ছিল আমাদের বিভাগের পিকনিক। বেরোবি'র "ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব" বিভাগ ১৩ই মার্চ ২০১৬ তে যাত্রা শুরু করলাম তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। দুপুরের আগেভাগে তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে গাড়ি থামিয়ে রান্নার জিনিসপত্র নামিয়ে নেওয়া হলো এবং বাবুর্চিরা নেমে কাজে লেগে পরলো। সংগত কারণেই এ আয়োজনে আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী স্যার ছাড়া অন্য কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকতে পারেন নি; তিনি স্ত্রী সন্তান সহ ছিলেন। যাহোক ডাকবাংলো থেকে গাড়ি এবার বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্টে ছেড়ে দিল। গাড়ি বাংলাবান্দায় থামলে এবার আমরা নেমে জিরো পয়েন্টে গিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম।
জায়গাটা বেশ উন্নত লাগছিল। উন্নত রাস্তা, উন্নত পরিষ্কার ভবন আশেপাশে। ভারত হতে গাড়ি ঢুকছে বাংলাদেশে। বিজিবির একজন সদস্য ড্রাইভারের আইডেন্টিটি চেক করে করে ঢোকাচ্ছিলেন। এলাকাটা একদম ভিন্ন এবং চীন দেশের মতো মনে হচ্ছিল। অল্প কিছু দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া এবং তার ওপাশে ভারতীয় বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি ও টেলিযোগাযোগ লাইনের স্তম্ভ। ছবির মতো সুন্দর! ভালই লাগছিল। তবে এখানে অনেক শ্রমিক পাথর
ভাঙ্গার কাজ করছিল ইট ভাঙ্গার মেশিনে। মেশিনের ইয়ার ক্লিনার খুলে সেখানে পাইপ লাগিয়ে উঁচুতে তা সেট করে রাখা হয় পতকা টানানোর মতো করে।
সেখান থেকে ফিরে আমাদের মিশন শুরু হলো ডাকবাংলোর পাশের মহানন্দা নদীর উপরে চরের বালিতে হাঁটা। নদীর ওপাশে ভারতীয়দের চা এর জমি; নদীর মাঝামাঝি দিয়ে সীমানারেখা কারণ, ভারতীয়রা কাঁটাতারের বাইরেও কিছু অংশ নিজেদের সীমানা রেখে বেড়া দেয়। নদীর কিছু অংশে চর কিছু অংশে পানি। কোথাও হাটু পানি কোথাও প্রায় কোমর খানেক। আমাদের ৬ষ্ঠ ব্যাচের দুরন্ত ছেলেরা ব্যাগ হতে স্টক কাপড় বের করে পড়ে নিয়ে গোসল ও দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দিল। স্বচ্ছ পানি; যেখানে পানি হাটুখানেক বা তার নিচে সেখানে পানির নিচের বালি দেখা যায়। অনেকে কক্সবাজারে ছবি তোলার মতো ছবি তুলতে শুরু করে দিল আর এভাবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টার সদ্ব্যবহার করতে শুরু করলো। সেলফি, ফটো, হাটাহাটি দিয়েই এ সেশন শেষ হলো।
এরপরের সেশন শুরু হলো ভ্যানে উঠে। দূর থেকে দার্জিলিং ব্রিজ দেখে আর একটু সামনে এগোনো শুরু হলো। একটু দূরে গিয়ে ভারতীয়দের চা বাগানে যাওয়া হলো। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে গিয়েছিলাম, বেশিক্ষণ থাকা যাবে না ওখানে। একটি সরু নালা, তার এপাশে বাংলাদেশ ওপাশে ভারত। চা বাগানের চা গাছগুলোর আকৃতি দেখতে দারুণ সুন্দর লাগলো; বনসাই এর মতো। উপর থেকে দেখলে একমাপে ছেঁটে দেওয়া। নিচ থেকে গাছের গোড়াগুলো দেখতে চেষ্টা করলাম। শ্যাম্পুর এ্যাড এর মতো সব গাছের সুন্দর স্থাপন ও সুনিপুণ অবস্থান। অপরূপ সুন্দর!
সেখানে থেকে ফিরে আর কিছু দেখার বাকি থাকলো না। বিকেল চারটার দিকে তিন পর্বে ভোজনপর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় লটারি ড্রর মধ্য দিয়ে আমাদের আয়োজন শেষ। স্মৃতিতে স্থান করে নিলো একটি স্বপ্নিল ভ্রমণ।
বাই বাই তেতুলিয়া, সি মোর এগেইন উইথ মাই বিলাভড....।
-মোঃ মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
এটা ছিল আমাদের বিভাগের পিকনিক। বেরোবি'র "ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব" বিভাগ ১৩ই মার্চ ২০১৬ তে যাত্রা শুরু করলাম তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। দুপুরের আগেভাগে তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে গাড়ি থামিয়ে রান্নার জিনিসপত্র নামিয়ে নেওয়া হলো এবং বাবুর্চিরা নেমে কাজে লেগে পরলো। সংগত কারণেই এ আয়োজনে আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী স্যার ছাড়া অন্য কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকতে পারেন নি; তিনি স্ত্রী সন্তান সহ ছিলেন। যাহোক ডাকবাংলো থেকে গাড়ি এবার বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্টে ছেড়ে দিল। গাড়ি বাংলাবান্দায় থামলে এবার আমরা নেমে জিরো পয়েন্টে গিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম।
জায়গাটা বেশ উন্নত লাগছিল। উন্নত রাস্তা, উন্নত পরিষ্কার ভবন আশেপাশে। ভারত হতে গাড়ি ঢুকছে বাংলাদেশে। বিজিবির একজন সদস্য ড্রাইভারের আইডেন্টিটি চেক করে করে ঢোকাচ্ছিলেন। এলাকাটা একদম ভিন্ন এবং চীন দেশের মতো মনে হচ্ছিল। অল্প কিছু দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া এবং তার ওপাশে ভারতীয় বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি ও টেলিযোগাযোগ লাইনের স্তম্ভ। ছবির মতো সুন্দর! ভালই লাগছিল। তবে এখানে অনেক শ্রমিক পাথর
ভাঙ্গার কাজ করছিল ইট ভাঙ্গার মেশিনে। মেশিনের ইয়ার ক্লিনার খুলে সেখানে পাইপ লাগিয়ে উঁচুতে তা সেট করে রাখা হয় পতকা টানানোর মতো করে।
সেখান থেকে ফিরে আমাদের মিশন শুরু হলো ডাকবাংলোর পাশের মহানন্দা নদীর উপরে চরের বালিতে হাঁটা। নদীর ওপাশে ভারতীয়দের চা এর জমি; নদীর মাঝামাঝি দিয়ে সীমানারেখা কারণ, ভারতীয়রা কাঁটাতারের বাইরেও কিছু অংশ নিজেদের সীমানা রেখে বেড়া দেয়। নদীর কিছু অংশে চর কিছু অংশে পানি। কোথাও হাটু পানি কোথাও প্রায় কোমর খানেক। আমাদের ৬ষ্ঠ ব্যাচের দুরন্ত ছেলেরা ব্যাগ হতে স্টক কাপড় বের করে পড়ে নিয়ে গোসল ও দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দিল। স্বচ্ছ পানি; যেখানে পানি হাটুখানেক বা তার নিচে সেখানে পানির নিচের বালি দেখা যায়। অনেকে কক্সবাজারে ছবি তোলার মতো ছবি তুলতে শুরু করে দিল আর এভাবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টার সদ্ব্যবহার করতে শুরু করলো। সেলফি, ফটো, হাটাহাটি দিয়েই এ সেশন শেষ হলো।
এরপরের সেশন শুরু হলো ভ্যানে উঠে। দূর থেকে দার্জিলিং ব্রিজ দেখে আর একটু সামনে এগোনো শুরু হলো। একটু দূরে গিয়ে ভারতীয়দের চা বাগানে যাওয়া হলো। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে গিয়েছিলাম, বেশিক্ষণ থাকা যাবে না ওখানে। একটি সরু নালা, তার এপাশে বাংলাদেশ ওপাশে ভারত। চা বাগানের চা গাছগুলোর আকৃতি দেখতে দারুণ সুন্দর লাগলো; বনসাই এর মতো। উপর থেকে দেখলে একমাপে ছেঁটে দেওয়া। নিচ থেকে গাছের গোড়াগুলো দেখতে চেষ্টা করলাম। শ্যাম্পুর এ্যাড এর মতো সব গাছের সুন্দর স্থাপন ও সুনিপুণ অবস্থান। অপরূপ সুন্দর!
সেখানে থেকে ফিরে আর কিছু দেখার বাকি থাকলো না। বিকেল চারটার দিকে তিন পর্বে ভোজনপর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় লটারি ড্রর মধ্য দিয়ে আমাদের আয়োজন শেষ। স্মৃতিতে স্থান করে নিলো একটি স্বপ্নিল ভ্রমণ।
বাই বাই তেতুলিয়া, সি মোর এগেইন উইথ মাই বিলাভড....।
-মোঃ মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন