মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

নিউজপেপার ডাইজেস্ট ঢাবি "খ" সংখ্যা

পরীক্ষা প্রস্তুতি




আমরা কৌশল ও সেবা এই দুটিকে আদর্শ হিসেবে নিয়ে আমাদের প্রকল্পের উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে চলছি। সেই ধারাবাহিকতাতেই এবার প্রকাশ করা হলো 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট' এর উদ্বোধনী সংখ্যা।
অনেকের ধারণা পেপার এর কী দরকার। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়লেই তো হয়। কিন্তু এমন ৬০% ছুটখাট তথ্য আছে যেগুলো আমরা জানতাম না কিন্তু সাম্প্রতিক কোন কারনে পেপারে এসেছে এবং স্মার্ট ছাত্র হিসেবে তা জানা দরকার, আর এসব তথ্য এমন কোন বিশেষ সাম্প্রতিক ইস্যু নয় যে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ তা আসবে।
বরাবরই বিভিন্ন কারণে পত্রিকায় উঠে আসা সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নগুলোর গুরুত্ব বেশি থাকে। তাই এই বছরের বিভিন্ন ইস্যুতে উঠে আসা সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নগুলো সমন্বিত করে তৈরি করা হলো 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট- ঢাবি খ সংখ্যা'। তবে শুধু ঢাবি খ ভর্তি নয়, ৩৭তম বিসিএস প্রিলির জন্যও যাতে এটি সহায়ক হয় সেভাবেই এটি তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষা প্রস্তুতি ও লেখাপড়ায় এটি সামান্য অবদান রাখলেও আমাদের শ্রম ও এ উদ্যোগ সফল হবে।

এটি দুই ভাগে বিভক্ত করে উপস্থাপন করা হয়েছে, যথা- ছুটখাট তথ্য ও ইস্যু। নিম্নে উপস্থাপিত হলো।

→ গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ কী এবং কোথায়?
// অস্ট্রেলিয়ার সামুদ্রিক জলসীমায় সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত এক বিশাল প্রবাল প্রাচীর। এটি এক প্রাকৃতিক বেষ্টনী। বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। ইউনেস্কোর একটি বিশ্ব-ঐতিহ্য, ১৯৮১ খ্রিঃ তে ঘোষিত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক সপ্তাচার্য। বিশালত্বের কারণে মহাশূন্য থেকেও দেখা যায়।
→ হিউম্যানিটারিয়ান প্যারোল কী?
// কোন দেশে অস্থায়ী ভ্রমণের অনুমতিপত্র। এটি ভ্রমণ সংক্রান্ত দলিল কিন্তু ভিসা নয়। মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিয়ে থাকে। আর হিউম্যানিটোরিয়ান প্যারোল দেয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট।
→ সম্প্রতি আবিষ্কৃত সৌরজগতের বাইরে সবচেয়ে তরুণ গ্রহের নাম কী?
// কে২-৩৩ বি। এর নক্ষত্রের নাম কে২-৩৩। এর গ্যালাক্সির নাম স্করপিও। একে আখ্যা দেওয়া হয়েছে 'সুপার নেপচুন' নামে। এটি আবিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়েছে নাসার 'কেপলার স্পেস' নামক টেলিস্কোপ।
→ আইএসএস কী?
// আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এটি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্থাপিত মহাকাশে অবস্থিত একটি পরীক্ষাগার।
→ ইন্টেলেকচুয়াল করাপশন কী?
// শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে না লাগানো।
→ প্রাতিষ্ঠানিক কাজের মানোন্নয়নের জন্য এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুসৃত পদ্ধতির নাম কী?
// SS-CQI-TOM
→ 'সিটিজেনস হ্যাপিনেস ইনডেক্স' চালু হয়েছে কোথায়?
// দুবাইয়ে
→ বাংলাদেশের প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র 'মুখ ও মুখোশ' এর পরিচালক কে ছিলেন?
// আব্দুল জব্বার।
→ Random Thoughts এবং Lonely Thoughts এর লেখক কে?
// আবুল খায়ের নাজিরুদ্দিন আহমেদ (এ কে এন আহমেদ)।
→ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ কোথায়?
// প্রশান্ত মহাসাগরে।
→ 'ওশেনওয়ান' কী?
// একটি ডুবুরি রোবট। ১৬৬৪ সালে চতুর্দশ লুই এর 'লা লুল' নামক যুদ্ধ জাহাজ ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাবার কয়েক শতাব্দী পর সম্প্রতি এই রোবট ডুবুরি তা পরিদর্শন করে।
→ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত 'অহিংসা' নামক বিখ্যাত ভাস্কর্যটির ভাস্কর কে ছিলেন?
// বিশ্ববিখ্যাত সুইডিশ ভাস্কর কার্ল ফ্রেড্রিক রয়তারসর্দ।
→ দ্যা গ্লোবাল টাইমস- কোন দেশের সরকারি সংবাদপত্র।
// চীনের। এতে সম্প্রতি জানানো হয় যে, দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মানের পর এবার সেখানে ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের পরিকল্পনা করছে চীন।

→ ’লুপাস' কী?
// একটি রোগের নাম। এটি গ্রিক শব্দ, এর অর্থ নেকড়ে। এই রোগ হলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের বিভিন্ন কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করে।
→ সম্প্রতি নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়া বিশ্বের দীর্ঘতম পাতাল রেলপথ 'গথার্ড বেস টানেল' নির্মাণে কৃতিত্ব কোন দেশের?
// সুইজারল্যান্ড
→ লালমাই পাহাড় কোথায়?
// কুমিল্লায়। প্রাচীনকাল থেকে কুমিল্লা পুকুর ও দিঘির শহর হিসেবে প্রসিদ্ধ।
→ সাইকস-পাইকট চুক্তি কী?
// এটি আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া মাইনর চুক্তি নামে পরিচিতি। ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এর মধ্যে এই চুক্তি হয়।
→ মার্টিন লুথার কিং কী ছিলেন?
// আমেরিকার নাগরিক অধিকার নেতা।
→ মার্কিন মুদ্রায় নতুন মুখ হিসেবে আসছে কোন দাসের ছবি?
→ হ্যারিয়েট টাবম্যান। তিনি দাসপ্রথা বিরোধী যোদ্ধা ছিলেন, তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দ্বিতীয় মহিলা যার ছবি ডলারে স্থান পাবে।
→ 'হিবাকুশা' শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
// হিরোশিমা ও নাগাসাকি আণবিক বোমা হামলার শিকার হয়ে প্রাণে বেচে থাকা মানুষদের বোঝাতে।
// ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় ও ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে যথাক্রমে 'লিটল বয়' ও 'ফ্যাট ম্যান' নামক আণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। যা ফেলা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের নির্দেশে।
// যুক্তরাষ্ট্র হলো একমাত্র দেশ যারা আণবিক বোমা ব্যবহার করেছে, আর জাপান একমাত্র দেশ যারা এর শিকার হয়েছে।
→ বাংলাকে 'সম্পদপূর্ণ নরক' বলেছেন কে?
// মরোক্কোর পরিব্রাজক 'ইবনে বতুতা'। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীতে ১৩৪৬-৪৭ খ্রিঃ এদেশে এসেছিলেন।
→ 'বঙ্গালহ' নামক শীর্ষক অনুচ্ছেদ রয়েছে কার সফরনামায়?
// ইবনে বতুতার।
→ কোহিনুর কী?
// একটি প্রসিদ্ধ হীরক খণ্ড। এটি ভারতবর্ষের গর্বের বস্তু ছিল। এছাড়াও আরেকটি গর্বের বস্তু ছিল ময়ূর সিংহাসন, যা নাদির শাহ লুট করে পারস্যে নিয়ে যান।
→ আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া বিশ্বের প্রথম সৌরবিমান এর নাম কী?
// সোলার ইমপালস টু। এ যাত্রার পাইলট ছিলেন বারট্রান্ড পিকার্ড।
→ জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর কোথায়?
// নিউইয়র্ক।
→ অতি মূল্যস্ফীতির পর ২০০৯ সালে কোন দেশ নিজেদের দেশের মুদ্রা বাতিল করে সেখানে মার্কিন ডলার প্রবর্তন করে?
// জিম্বাবুয়ে। এছাড়াও তারা দক্ষিণ আফ্রিকার 'রেন্ড' মুদ্রা এবং চীনের 'ইউয়ান' মুদ্রা ব্যাবহার করেছিল।
→বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরি ও উড়োজাহাজ এর নাম কী?
// প্রমোদতরি 'হারমনি অব দ্যা সিস' এবং উড়োজাহাজ 'আন্তোনভ আন-২২৫ ম্রিয়া'। জাহাজ তৈরির কর্মশালাকে বলা হয় 'শিপইয়ার্ড'।
→ সামনে-পেছনে এবং ডানে-বামে একসঙ্গে চারদিকের স্থিরচিত্র তুলে যে একটি ছবি তৈরি করা হয়, তাকে কী ছবি বলে?
// ৩৬০ ডিগ্রি ছবি (এটি থ্রিডি নয়, থ্রিডি অন্য জিনিস)।
→ ফেসবুকের নিউজ ফিডে ৩৬০ ডিগ্রি ছবি চেনা যাবে কীভাবে?
// ছবিতে একটি কম্পাস চিহ্ন দেখে।
→ ইন্টারনেটে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে কী পরিমাণ ডেটা ব্যবহৃত হচ্ছে?
// ৩০০ টেরাবাইট। এই গবেষণা করেছেন সুইডিশ প্রতিষ্ঠান 'এরিকসন'।
→ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) কী?
// যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
→ সাম্প্রতিক কম্পিউটার প্রযুক্তির জগতে যে বিপ্লব আসছে তার নাম কী?
// কোয়ান্টাম কম্পিউটং।

→ কাশ্মীর ভারতকে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ এ তিনটি জিনিসের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে চুক্তি করেছিল কবে?
// ১৯৫৩ খ্রিঃ তে।
→ 'তিলাউরাকোট' শহর কোথায়?
// নেপালে। নেপালের প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি সেখানে আড়াই হাজার বছর আগের একটি জনপদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
→ সম্প্রতি ৯০০ থেকে ১৪০০ বছরের পুরোনো প্রাচীন শহর এর সন্ধান পাওয়া গেছে কোথায়?
// কম্বোডীয়ার গহীন অরন্যে। কম্বোডীয়ার রাজধানী 'নমপেন'। 'জার্নাল অব আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স' একটি প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক সাময়িকী।
→ মুখরা রমণী বশীকরণ, দ্যা টেম্পেস্ট, টুয়েলভথ নাইট, হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, মিড সামার নাইটস ড্রিম এসব কার লেখা?
// শেকসপিয়ার এর।
→ কৌটিল্য কোন দেশের অর্ধশাস্ত্রবিদ ছিলেন?
// ভারতের। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ বছর আগের। তার লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ 'অর্থশাস্ত্র'। অর্থশাস্ত্র নাম হলেও এটি ছিল মূলত একটি রাজনৈতিক ধাচের গ্রন্থ।
→ জিওগ্রাফিক্যাল ইনডেক্স (জিআই) বা ভৌগলিক নির্দেশক কী?
// কোন দেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বত্ব নিবন্ধন প্রকৃয়া।
→ মেধাস্বত্ব বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা কোনটি?
// ওয়াইপিও।
→ জামদানি, ফজলি আম এবং নকশিকাঁথা বাংলাদেশের পণ্য হওয়া সত্ত্বেও এর জিআই নিবন্ধন নিয়েছে কোন দেশ?
// ভারত।
→'আমাদের গ্রাম' কী?
// একটি মেধাস্বত্ব গবেষক ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
→ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সহায়তা বিভাগের নাম কী?
// ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ড সাপোর্ট
→ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের 'দ্যা রোল অব ল অ্যান্ড সিকিউরিটি ইনস্টিটিউশন' এর সম্প্রতি প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জন করে সেখানে চাকরি পেয়েছেন কোন বাংলাদেশি নারী?
// তাপতুন নাসরীন।
→ কাজ না করলেও ন্যুনতম আয়ের দাবিতে সম্প্রতি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় দেশে?
// সুইজারল্যান্ডে।
→ সম্প্রতি দেশিয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত প্রথম স্পেস শাটল উৎক্ষেপণ করে এশিয়ার কোন দেশ?
// ভারত। মহাকাশতরি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, তা পরীক্ষা করতেই এটি করা হয়।
→ ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম অফিস ভবন চালু হয়েছে কোথায়?
// সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে।
→ নাসার বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সৌরজগতের বাইয়ে আরো কতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে?
// ১২৮৪ টি।
→ 'অ্যান্ট' কী?
// যুক্তরাজ্যের গবেষকদের সম্প্রতি আবিষ্কৃত এক প্রকার 'ন্যানো ইঞ্জিন'। এর পূর্ণরূপ 'অ্যাকচুয়েটিং ন্যানো ট্রান্সডিউসার।
→ সম্প্রতি বিকল্প জ্বালানিতে টানা চার দিনেরও বেশি সময় ধরে জল, বায়ু আর সৌরশক্তিতে পুরো দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে এ পরীক্ষণে সফল হয়েছে কোন দেশ?
// পর্তুগাল।
→ ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে শক্তির চাহিদার কত শতাংশ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
// ২০%
→ ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান ও তথ্যবিষয়ক বিভাগ এর নাম কী?
// ইউরোস্টান্ড।

→ জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব 'হাওলিয়াং জু' সম্প্রতি কবে ঢাকায় আসেন?
// ২৩ এপ্রিল ২০১৬। তিনি জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি UNDP এর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক।
→ বাংলা সাহিত্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিসরূপ সম্প্রতি ডি লিট ডিগ্রি পেয়েছেন কোন দুই জন কথাসাহিত্যিক?
// হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেন।
→ শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি কোন বিদেশী শহরের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব লাভ করেন?
// ইতালির প্রায় ১০০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী 'তুসকান নগরী'র।
→ ’বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
// নূরজাহান বেগম। 'বেগম' বাংলার নারীদের প্রথম সাপ্তাহিক। ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই কলকাতা থেকে এটি প্রকাশিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন 'সুফিয়া কামাল', সে সময়ে নূরজাহান বেগম ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক; পরবর্তীতে ১৯৫০খ্রিঃ থেকে সম্পাদক হন। 'নূরজাহান' অর্থ জগতের আলো। তিনি ১৯৯৭খ্রিঃ তে 'রোকেয়া পদক' এবং ২০১১খ্রিঃ তে সাংবাদিকতায় 'একুশে পদক' পান। তার জীবনকাল ১৯২৫-২০১৬ খ্রিঃ।

→ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান 'মার্সার' এর প্রকাশিত 'কোয়ালিটি অব লিভিং রেংকিং ২০১৬' তে ঢাকা'র অবস্থান কততম?
// ২১৪ তম (২৩০ এর মধ্যে)। ১নম্বরে আছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
→ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি কীসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে?
// জিকা ভাইরাস।
→ সাম্প্রতিক জরিপে বিশ্বে সবচেয়ে সুখী দেশ কোনটি?
// ডেনমার্ক।
→ 'কিছু মনে পড়ে না' কার লেখা?
// হুমায়ূন আহমেদ।
→ সম্প্রতি গবেষণাগারে তৈরি ত্বকে চুল গজানো কোন দেশের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার?
// জাপান।
→ সম্প্রতি আবিষ্কৃত যে রোবট পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারে তার নাম কী?
// এমিউ-৩
→ সম্প্রতি 'কি' ছাড়া কিবোর্ড তৈরি করেছে কোন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান?
// অ্যাপল
→ প্রতিবছর ১২ই এপ্রিল স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয় কোথায়?
// নিলফামারীর সৈয়দপুরে।
→ 'স্পেস এক্স' কী?
// মার্কিন মহাকাশযান।
→ সম্প্রতি বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত হয়েছেন কে?
// রুশনারা আলী।
→ FBI কী?
// ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
→ কমনওয়েলথ এর প্রথম নারী মহাসচিব কে?
// প্যাট্রিসিয়া জানেট স্কটল্যান্ড। কমনওয়েলথ ৫৩টি জাতির জোট।
→ সম্প্রতি বাংলাদেশকে 'তরুণের দেশ' বলেছে কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন?
// জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি 'ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রগ্রাম (UNDP)
→ UNDP এর মতে বর্তমানে বাংলাদেশের কত শতাংশ জনসংখ্যা তরুণ?
// ৪৯%
→ পিএসসি'র বর্তমান চেয়ারম্যান কে?
// মোহাম্মদ সাদিক
→ ই-জিপি কী?
// ইলেক্ট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট।
→ গোয়েন্দা নিরাপত্তার কাজে প্রথম রোবট পুলিশ চালু করেছে কোন দেশ?
// চীন।
→ সম্প্রতি 'গ্লোবাল মোবাইল ইন্টারনেট কনফারেন্স (GMIC)' শুরু হয় কোথায়?
// চীনের রাজধানী বেইজিং এ।
→ সম্প্রতি এই প্রথম জ্যাতির্বিদেরা যে লেজবিহীন ধুমকেতুর খোঁজ পেয়েছেন তার নাম কী?
// "ম্যাংকস" বা "মি/২০১৪ এম ৩"।
→ সম্প্রতি চীন কোথায় পরমাণু সাবমেরিন চালনা শুরু করেছে?
// আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি 'মালাক্কা প্রণালী'তে। এই প্রণালীকে (মালাক্কা) দক্ষিণ চীন সাগরের প্রবেশপথ বলা হয়।
→ আইসিসি'র বার্ষিক রেংকিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
// ৭ম।
→ 'সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর' কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
// নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
→ 'সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর' এর বর্তমান নাম কী?
// 'নৌপরিবর্তন অধিদপ্তর' যা ইংরেজিতে 'মার্কেন্টাইল মেরিন অফিস' করা হয় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় 'নৌবাণিজ্য দপ্তর'।
→ সম্প্রতি দাবানলের কারনে জরুরি অবস্থা জারি করা করা হয় কোথায়?
// কানাডার অ্যালবার্টায়।
→ "লেতারনল প্রাঁতম্প" একটি ভাস্কর্য, এর অর্থ 'চিরবসন্ত', এর ভাস্কর কে?
// ফরাসি ভাস্কর "অগুস্ত রদ্যা"।
→ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে কত লোক ইন্টারনেট সুবিধা পায় না?
// ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ।
→ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের কত শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের আয়ের উৎস কৃষি?
// ৮৭%

→ পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হওয়ায় থাইল্যান্ড সরকার কোন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে?
// 'কো আচাই' নামক দ্বীপে।
→ বিশ্বের প্রথম কৃতিম বুদ্ধিমত্তার রোবট আইনবিদ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে কোন দেশের কোন প্রতিষ্ঠান?
// যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রতিষ্ঠান 'বেকার হেস্টেটলার'।
→ মানবাধিকার রক্ষায় সংবিধানের কত নম্বর ধারা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত?
// ৫৪ এবং ১৬৭ নম্বর ধারা।
→ 'ভিশন-২০২১' এর গবেষক কে?
// বিয়র্ন লোমবোগ। তিনি কোপেনহেগেন কনসাসনেস সেন্টার এর প্রেসিডেন্ট।
→ ডেলিগেট কী?
// সমর্থনদাতা প্রতিনিধি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে কোন প্রার্থীকে ১২৩৭টি ডেলিগেট এর ভোট পেতে হয়।
→ সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি উৎসব "ক্যাম্পাস পার্টি" কোথায় শুরু হয়?
// নেদারল্যান্ডে।
→ নৌবাহিনীতে প্রথমবারের মতো নারী নাবিক যুক্ত হয় কোথায়?
// খুলনা নৌবাহিনী ঘাটি 'তিতুমীর ২০১৬' তে।
→ কোনটি সুন্দরবনের দশ্যু বাহিনী?
// মাস্টার বাহিনী।
→ সম্প্রতি কোন শহর ইরাকের শরণার্থী ইস্যুর জন্য আলোচিত?
// ফালুজা শহর।
→ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার নাম কী?
// UNHCR
→ "গেম অব গ্রোন" অর্থ কী?
// (যুদ্ধক্ষেত্রে) একমাত্র আশা এই যে, প্রতিপক্ষ তাদের আগে ভেঙ্গে পড়বে।
→ তাইওয়ান এর রাজধানীর নাম কী?
// তাইপে।
→ আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার নাম কী?
// ইন্টারপোল
→ 'ওয়াইল্ড টিম' কী?
// বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
→ সর্বশেষ জরিপ মতে সুন্দরবনে কতটি বাঘ আছে?
// ১০৬ টি
→ ব্যাসেল সম্মেলন কী?
// বিশ্বের ব্যাংকসমূহের নীতি নির্ধারণ সংক্রান্ত অধিবেশনের স্থান সিঙ্গাপুরের "ব্যাসেল"। এটির সম্মেলনগুলো ব্যাসেল সিরিজ যেমন ব্যাসেল-১, ব্যাসেল-২, ইত্যাদি হয়ে থাকে।
→ 'ফোবর্স' কোন দেশভিত্তিক সাময়িকী?
// যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
→ সার্ক চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬ তে দুটি শাখায় পুরস্কৃত হয়েছে কোন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র।
→ জালালের গল্প।
→ ম্যালওয়ার ঝুঁকিতে বর্তমানে বাংলাদেশ কততম?
// ৩য়।
→ ম্যালওয়ার কী?
// কম্পিউটারের ভাইরাস ও হ্যাকিং জাতীয় দশ্যুতা।
→ "মাইন ক্যাম্প" কার আত্নজীবনী?
// এডলফ হিটলার এর। 'নাৎসি বাহিনী' ছিল হিটলারের গোপন বাহিনী বা গুপ্তচর।
→ টমেটো ও ঝাঁল মরিচ এর উৎসস্থল ও উৎকর্ষ স্থল কী?
// টমেটোর জন্য বিখ্যাত ইতালি, ঝাল মরিচের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। তবে এগুলির আদি উৎস ছিল সুদূর আমেরিকা মহাদেশ।
→ সম্প্রতি দেশের কোথায় প্রাচীন মন্দির উন্মোচিত হয়েছে?
// কাহারোলে।
→ সম্প্রতি কোন দেশ জর্ডান থেকে পুরোনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে?
// পাকিস্তান।
→ 'আগা খান পুরস্কার' কেন দেওয়া হয়?
// স্থাপত্য সৌন্দর্য নিদর্শন এর জন্য।
→ "ইহাং ১৮৪" কী?
// একটি মানুষবাহী ড্রোন এর নাম।


→ 'মরুর মুক্তা' নামে পরিচিত কী?
// সিরিয়ার প্রাচীন নগরী 'পালমিরা'।
→ 'আর্ক অব ট্রায়াম্প' কী এবং কোথায়?
// একটি বিখ্যাত প্রাচীন স্থাপত্য। সিরিয়ার পালমিরা নগরে অবস্থিত; সম্প্রতি আইএস এর হামলায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
→ ইউনেস্কো কত সালে পালমিরাকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে?
// ১৯৮০ সালে।
→ বেল মন্দির কোথায়?
// সিরিয়ার প্রাচীন নগরী পালমিরায়।
→ সিরিয়ার প্রাচীন নগর পালমিরার বিখ্যাত একটি খিলানের অনুরূপ একটি খিলান তৈরি করা হয় কোথায়?
// লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে।
→ যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনাটি কী নামে পরিচিত?
// 'ব্রেক্সিট' নামে।
→ ব্রেক্সিটের ইস্যুতে যুক্তরাজ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় কবে?
// ২৩ জুন ২০১৬
→ ব্রেক্সিটের পক্ষে কত শতাংশ ভোট পড়ে?
// ৫২%
→ ব্রেক্সিটের বিপক্ষে একজোট হয়েছিল কোন জোট?
// জি-৭। এটি হলো বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট।
→ এ বছর জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন কোন দেশে অনুষ্ঠিত হয়?
// জাপানে।
→ 'শিন্তো' কোন দেশের প্রাচীন ধর্ম?
// জাপানের।
→ পানামা পেপারস এর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
// মোসাক ফনসেকা। এটি একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
→ মোসাক ফনসেকা কোন দেশভিত্তিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান?
// পানামভিত্তিক।
→ কোন দেশের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের কর চুক্তি নেই?
// পানামা।
→ গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) কী?
// ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের কর রাজস্ব ইত্যাদি আর্থিক বিষয়াদি এই প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে।
→ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর ___ তম জন্মদিনের কেক বানিয়েছিলেন কোন বাংলাদেশি?
// বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত 'নাদিয়া হোসেইন'। রান্নাবিষয়ক প্রতিযোগিতা 'দ্যা গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ ২০১৫’ এর চ্যাম্পিয়ন সে।
→ ৬৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে একই দিনে প্রদর্শিত হয়েছে কোন দুইটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র?
// 'আয়নাবাজি' ও 'অজ্ঞাতনামা'।
→ বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি মুদ্রা ও ব্যাংক মুদ্রা কয়টি?
// ১পয়সা থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত এখন সরকারি মুদ্রা। ব্যাংক মুদ্রা ৬টি; ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০টাকার নোট। সরকারি মুদ্রায় অর্থসচিব এর স্বাক্ষর থাকে, আর ব্যাংক মুদ্রায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর স্বাক্ষর থাকে।
→ ঘূর্ণিঝড় 'রোয়ানু' তে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের কোন রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
// মিজোরাম ও ত্রিপুরা।
→ সিজিআই কী?
// কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি।
→ বাংলাদেশি কে হলিউডে অ্যানিমেশনের কাজ করে অস্কার জিতেছেন?
// নাফিজ বিন যাফর। 'পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান' ছবির ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট দলের সঙ্গে কাজ করে তিনি অ্যানিমেটর হিসেবে অস্কার পান।

→ জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭তে আয় ও ব্যায় কত?
// ব্যয় ৩, ৪০, ৬০৫ কোটি টাকা, আয় ২, ৪৮, ২৬৮ কোটি টাকা। মোট বাজেটের ৭১.৩ শতাংশ অর্থ আসবে জনগণের কাছ থেকে।
→ কিংবদন্তী 'মোহাম্মদ আলী'র জীবনকাল কত?
// ১৭ জুন, ১৯৪২-৩ জুন, ২০১৬ (যুক্তরাষ্ট্রের সময় ৩ জুন)। ১৯৭৪ এর 'রাম্বল ইন দ্যা জাঙ্গল', ১৯৭৫ এর 'থ্রিলা ইন ম্যানিলা' তার দুনিয়া কাপানো গল্প। ১৯৬৪ সালে ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে মোহাম্মদ আলী এক্স নামকরণ হয়। ১৯৭৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং ছিলেন ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৯৬৪ খ্রিঃ তে সনি লিস্টনকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন।
→ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন কে?
// সাবেক ফাস্ট লেডি 'হিলারী ক্লিনটন'।
→ সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি কে?
// সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।


ইতি,
"তোমার স্বপ্ন পূরণে..."
DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

     

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

পরিবর্তন আসছে ঢাবি "খ" ইউনিট এর প্রশ্নের ধরনে!

শিক্ষা সংবাদ




বর্তমানে এই প্রযুক্তির যুগে মানুষের শৈল্পিক বুদ্ধিমত্তাকে প্রযুক্তিময় করে দেশে সৃজনশীল মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে; এবং এই মেথড প্রাথমিকভাবে দেশে প্রয়োগ করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেজন্য ঢাবির বিএ এবং বিএসএস অনুষদের বিভাগসমুহের সিলেবাস ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে কিছুটা পরিবর্তন করে উন্নত ও যুগোপযোগী করে তোলা হবে, আর সেইসব বিভাগে যেসব ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির উপযোগী তাদের বেছে নেওয়ার জন্য এবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি ভিন্নধর্মী তথা সৃজনশীল ও কৌশলমূলক করা হবে যা কোচিংয়ের প্রচলিত প্রস্তুতি পদ্ধতি হতে ভিন্ন হবে। এতে করে তাদের শীটগুলো আগের মতো কজে আসবে না এবং গৎবাঁধা শিক্ষার পরিবর্তে বুদ্ধিবৃত্তিক শিক্ষার উৎকর্ষ সাধিত হবে।

বিষয়টি এমন যে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কিছু বোর্ড পরীক্ষকও এখনও ঠিকমতো সৃজনশীল পদ্ধতি বোঝেন না বলে পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থী যা লিখে সেসব পরীক্ষক তাতেই ফুল মার্ক দেন, ফলে এত এ প্লাস এর বন্যা। কিন্তু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফল এর ভিন্ন হবে; সেখানে মেশিনে এমসিকিও উত্তর কাউন্ট করা হবে, তাই ফাও নাম্বার পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

তাই যারা কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে পূর্বের ধাচের পড়াশুনা করছেন তাদের জন্য শনির দশা আসন্ন হয়ে আসছে। কারণ এইবার ঢাবি "খ" ইউনিটে যে সৃজনশীল বুদ্ধিবৃত্তিক ধাচের প্রশ্ন করা হবে তা এসব কোচিং শিক্ষকরাই কোনদিনও শেখেননি, শেখাবেনটা কী?

আর বিষয়টি করাই হচ্ছে এইবার হঠাৎ করে, তারা নিজেরা শেখার সময়ও পান নি। তবে মজার বিষয় হলো প্রশ্নপত্র সাজানোর পদ্ধতি আগের মতোই বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে করা হবে শুধু প্রশ্নের ধারা/পদ্ধতি ভিন্ন করা হবে।

এবং এই পদ্ধতিতে প্রতিবারই ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধারা পরিবর্তন করা হয়ে থাকে যাতে করে এর কার্যকারিতা বজায় থাকে এবং এটি ফলপ্রসূ হয়।

এই পদ্ধতি চালু হলে চিন্তাশীল ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ছাত্ররা জয়ী হবে। এই পরিবর্তনের পেছনে দুটি উদ্দেশ্য আছে। একটি হলো দেশে শিল্পপ্রযুক্তিময় মেধার উন্নয়ন করে দেশকে সৃজনশীল শিল্পে এগিয়ে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রসর হওয়া এবং অন্যটি হলো যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অহেতুক প্রতিষ্ঠান কোচিং সেন্টারগুলোকে কৌশলে সরিয়ে ফেলা।

এশিয়ার চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের কয়েকটি উন্নত দেশে কয়েক বছর হলো এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং এই বছর বাংলাদেশে ঢাবিতে এর প্রাথমিক প্রয়োগ শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশও তা করতে যাচ্ছে।

এই পদ্ধতির বিশেষত্ব এই যে, এতে নিজে নিজে মেধার বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন করতে পারদর্শী ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে থাকবে। আর এর প্রশ্নগুলো কী ধাচের হবে তা পরিষ্কার করে ঘোষণা করা হয়নি, কারণ এই বিষয়টিই হবে কৌশলমূলক তথা উপস্থিত সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। তাই এই পদ্ধতির নাম কী সেটিও প্রকাশ করা হয় নি।

একটি ছোট্ট সংবাদ এই যে, মালয়েশিয়ায় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া এক বাংলাদেশি প্রশ্নকর্তার কাছে তার এক আত্নীয় এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনেছিলেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এই পদ্ধতিতে প্রশ্ন করা হতে পারে ধারণা করে বিষয়টি ভালোভাবে শিখেছিলেন। তাই তিনি এ বিষয়ে ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য কয়েকদিন আগে একটি প্রকল্প খুলেছেন। যারা তার সাহায্য নিতে চান তারা নিম্নের ফেসবুক পেজের মেসেজ অপশনে গিয়ে হেল্প-মেসেজ করতে পারেন।
লিংক: facebook.com/dukuapp

ধন্যবাদ | ভালো থাকুন


বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

সাধারণ জ্ঞানের ক্রিয়েটিভ সিলেবাস

পরীক্ষা প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞান

ক.→ বাংলাদেশ Fundamental

5★
o বাংলাদেশ পরিচিতি (এ-টু-জেট): (নবম-দশম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বই এর বাংলাদেশ অংশ)- প্রোফাইল, ভৌগলিক অবস্থান, আয়তন, ভূপ্রকৃতি, সীমান্ত এলাকা, ছিটমহল, আবহাওয়া ও জলবায়ু, নদ-নদী, প্রাকৃতিক সম্পদ: কৃষিজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ, বনজ সম্পদ, প্রাণীজ, জলজ ও মৎস্য সম্পদ, বাংলাদেশের শিল্প: পাট, বস্ত্র, চিনি, কাগজ, সিমেন্ট, সার ইত্যাদি, জনসংখ্যা, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রধান শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, পর্যটন ইত্যাদি।


o বাংলাদেশের নদ-নদী: প্রধান নদ-নদীসমূহ, মোট সংখ্যা, উৎস, মিলিতস্থল, বিভক্তি, শাখা প্রশাখা, উপনদী, নদী তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর, নদী বন্দর, দেশিয় নদীতে বিখ্যাত বাধসমূহ, সীমান্তবর্তী নদীসমূহ, ইত্যাদি.......

o বাংলাদেশ পরিচিতি প্লাস+: বাংলাদেশের দ্বীপ, চর, নব্য প্রাকৃতিক উৎপত্তিসমূহ, দর্শনীয় স্থানসমূহ, ইত্যাদি।
o বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগ (সাম্প্রতিক)
o বাংলাদেশের উপজাতি ও নৃগোষ্ঠী (জনসংখ্যা অংশে): ...........

o বিজ্ঞান জগতে বাংলাদেশ: বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন (পরিবহন যোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ), বিনিময় উৎকর্ষ সাধন, সাম্প্রতিক আবিষ্কারসমূহ ইত্যাদি।

o বাংলাদেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি: বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য, অর্থনীতি, শ্রমিক অধিকার আইন, বৈদেশিক সাহায্য, NGOs, EPZs, ECNEC (একনেক) ইত্যাদি।
o বাংলাদেশের মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা
o বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহ।

o বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা: ভূমিকা, শিক্ষা কাঠামো, শিক্ষাস্তর, শিক্ষা আইন, জাতীয় শিক্ষানীতি, ইত্যাদি.......
o ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
o সাম্প্রতিক শিক্ষা সংবাদ।

o স্বাধীনতার ইতিহাস→ মুক্তিযুদ্ধ: পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ: ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যূত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ।

o মুক্তিযুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, অস্থায়ী সরকার গঠন, সেক্টরসমূহের তথ্য, ঘটনাপ্রবাহ, বিভিন্ন দেশ কতৃক স্বীকৃতি, স্বীকৃত বীরসমূহের তথ্য ও অন্যান্য....

o মুক্তিযুদ্ধ প্লাস+: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ ও লেখক/ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থসমূহ
o মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রসমূহ
o মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক স্থাপত্য ও ভাস্কর্যসমূহ।

o সংবিধান ও বাংলাদেশের সংবিধান: ~~ সংবিধান এর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ। ইংরেজি __ শব্দটির উৎপত্তি+ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবিধানের প্রকৃতি।~~~
o বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ইতিহাস: সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন, খসড়া সংবিধানের রূপরেখা। ৭২ এর খসড়া সংবিধান পেশকরন, গ্রহণ এবং কার্যকর করন।
o বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের বৈশিষ্ট্য/ প্রকৃতি, গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ।
o সংবিধানের সংশোধনীসমূহ ও এর বিষয়বস্তু
o সাংবিধানিক পদবীসমূহের ক্রম
o সাংবিধানিক বিভিন্ন নীতিসমূহ
(সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন)

o গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সরকারি পদবীসমূহ এবং আমলাতন্ত্র।
o আমলাতন্ত্র: __ এর অর্থ, বানান। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের প্রকৃতি ও শাখাসমূহ।

o বাংলাদেশের প্রশাসন (আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ): বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা/ কাঠামো, আইন বিভাগ: স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসন, রাজনৈতিক দল ব্যবস্থা, বাংলাদেশের নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, জাতীয় সংসদ...।
o সরকার ব্যবস্থার বিভিন্ন বিভাগসমূহ: প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, বাণিজ্য.......... ইত্যাদি বিভাগ/,
o মন্ত্রণালয়, সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট
o সাংবিধানিক, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ।
(শাসন বিভাগকে বলা হয় নির্বাহী বিভাগ)

o জাতীয় সংসদ: ভূমিকা, অবকাঠামো, পদশ্রেণী, কার্যপদ্ধতি ও কার্যপরিধি, বর্তমান পরিষদের তথ্য এবং বিবিধ তথ্যাদি।
Note: জাতীয় সংসদ হচ্ছে দেশের আইন প্রণয়নের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান এবং সংবিধান বাস্তবায়নকর্মের কেন্দ্রস্থল।

o বাংলার ইতিহাস: (প্রাচীন যুগ- মধ্যযুগ): প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রাচীন বাংলার জনপদসমূহ।
o বাংলাদেশের প্রথম, শ্রেষ্ঠ, বৃহত্তম, দীর্ঘতম, উচ্চতম ও ক্ষুদ্রতম বিষয়াবলীর প্রোফাইল।

o বাংলাদেশের পুরস্কারসমূহ: বাংলা একাডেমী পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ইত্যাদি (সাম্প্রতিক)

o আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ও বাংলাদেশ: ......................................................................................।


4★
o বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত: উইকিপিডিয়া (বাংলা) হতে।
o বাংলাদেশের গুরুত্বপপূর্ণ জাতীয় দিবসসমূহ (টপিক এর সঙ্গে)
o বাংলাদেশ বিষয়ক Abbreviations
o মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বিভাগসমূহ
o বাংলাদেশ ঘোষিত বর্ষ
o বাংলাদেশের বিখ্যাত কয়েকটি অপারেশন ও সামরিক অভিযান।


o বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা→ ইংরেজ শাসন: সুলতানী আমল, আফগান ও মোগল আমল, বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন, বাংলায় ইংরেজ কোম্পানীর শাসন, বঙ্গভঙ্গ ও বঙ্গভঙ্গ রদ।
o বঙ্গভঙ্গ রদ পরবর্তী সময় হতে ভারত বিভাগ।

o বাংলার ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারসমূহ: .....................................................................................।

o বাংলাদেশের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি
o বাংলাদেশের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
o বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহ
o বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসমূহ

o বাংলা সাহিত্য:
o বিখ্যাত বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যিক
o বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিষয়সমূহ
o বাংলা সাহিত্যের কবি ও সাহিত্যিকদের উপাধি ও ছদ্মনাম।
o সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্য পুরস্কারসমূহ
o বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক পুরস্কারসমূহ।

3★
o বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ
o বাংলাদেশের বিখ্যাত বিষয়সমূহ
o বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ
o বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রসমূহ
o বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকা
o বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের বর্তমান ও পুরাতন নাম


2★
o বাংলাদেশের রেডিও ও টেলিভিশন ব্যবস্থা
o বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত সাল
o ভিন্নার্থক অর্থে কাছাকাছি শব্দ (বাংলাদেশ)
o কতিপয় শব্দ সংক্ষেপ (বাংলাদেশ)
o বাংলাদেশের যাদুঘর পরিচিতি
o বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কিত গ্রন্থ ও লেখক (ভাষারীতি হতে+---)

1★
o ঢাকার প্রথম................।
o ঢাকার উল্লেখ্যযোগ্য স্মরণীয় ঘটনা
o ঢাকার উপর রচিত কতিপয় গ্রন্থ
o কতিপয় বাংলা গ্রন্থ ও উৎসর্গ



খ.→ আন্তর্জাতিক Fundamental

5★
o জাতিসংঘ (এ-টু-জেট): পটভূমি ও গঠন (জাতিপুঞ্জ হতে জাতিসংঘ), জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট চুক্তি ও সম্মেলনসমূহ, উদ্দেশ্য, জাতিসংঘের মূল সংস্থাসমূহ (প্রধান শাখাসমূহ), জাতিসংঘের উন্নয়নমমূলক লক্ষ্যসমূহ (MDG, SDG.....), জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক সংস্থাসমূহের প্রোফাইল, জাতিসংঘের বিশেষায়িত ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের মহাসচিবদের বাংলাদেশ সফর, সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘে প্রদত্ত বিভিন্ন দেশের চাঁদার হার, জাতিসংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন সম্মেলন, জাতিসংঘ ঘোষিত বর্ষ, জাতিসংঘ বিষয়ক সাধারণ তথ্যব্যাংক, জাতিসংঘের উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনাবলী, জাতিসংঘ বিষয়ক বিবিধ তথ্যাবলী ইত্যাদি।
o মহাসচিব ও জাতিসংঘের নোবেল পুরস্কার লাভ
o শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠনসমূহ।
o জাতিসংঘ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ।
o জাতিসংঘের বিশেষায়িত ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ: ...............................................................................................।
o জাতিসংঘে বাংলাদেশ।


o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানী, পার্লামেন্ট ও মুদ্রার নাম এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম।
o World Bank ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাসমুহ।
o World Bank:..................................।
o বিশ্ব রাজনীতি ও অন্যান্য
o বিশ্বের বিভিন্ন সামরিক জোট
o ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)
o সাম্প্রতিক আলোচিত স্থানসমূহ
o বিশ্বের বিখ্যাত স্থান ও দর্শনীয় বস্তু, সপ্তাচার্য... ইত্যাদি।
o বিশ্বের বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখক
o প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
o মহাকাশ পর্ব

o আন্তর্জাতিক পুরস্কারসমূহ: নোবেল, অস্কার, ম্যান বুকার, রেমন ম্যাগসাসে, কান চলচ্চিত্র পুরস্কার, আবেল...... ইত্যাদি। (সাম্প্রতিক দেখতে হবে)

4★
→ মহাদেশ পরিচিতি: o এশিয়া: এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য, ঘটনা পরিক্রমায় এশিয়া মহাদেশ, এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ ইত্যাদি।
o ইউরোপ: ইউরোপের বিখ্যাত স্থান, ইউরোপের রাজনৈতিক বিবরণ ও সংক্ষিপ্ত তথ্যবাংক।
o আফ্রিকা: আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত স্থান, আফ্রিকার সংক্ষিপ্ত তথ্যব্যাংক।
o উত্তর আমেরিকা: উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত স্থান, উত্তর আমেরিকার তথ্যব্যাংক।
o দক্ষিণ আমেরিকা: দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত স্থান, দক্ষিণ আমেরিকার সংক্ষিপ্ত তথ্যব্যাংক।
o ওশেনিয়া: ওশেনিয়ার বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত স্থান, ওশেনিয়ার সংক্ষিপ্ত তথ্যব্যাংক।


o বিশ্বের প্রধান প্রধান নদ-নদী
o বিশ্বের বিখ্যাত প্রণালীসমূহ, খাল ও দ্বীপ
o বিশ্বের প্রধান প্রধান সমুদ্র বন্দর
o আলোচিত বিতর্কিত ভূমিসমূহ
o বিশ্বের কয়েকটি সীমান্তবর্তী ভূমি/ অঞ্চল
o বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ লাইন ও সীমারেখা
o বিশ্বের বিখ্যাত অন্তরীপ ও আন্তর্জাতিক রুট
o বিশ্বের কতিপয় রাজনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান
o বিশ্বের কতিপয় সামরিক ঘাটি ও অবস্থান
o বিশ্বের কয়েকটি সামরিক অপারেশন
o পারমাণবিক বিস্ফোরণ অঞ্চল/ স্থান

o বিশ্বের উল্লেখ্যযোগ্য যুদ্ধ
o বিশ্বের উল্লেখযোগ্য চুক্তি
o বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় ঘটনা ও সাল (অটোমেটিকলি)
o গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমগ্র (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক) সমন্বয়তত্ত্ব

o বিশ্বের বিভিন্ন জিনিসের উৎপত্তিস্থল/ সুত্রিকাগার
o বিশ্বের প্রধান ধর্মসমূহ
o বিশ্ব রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব (........+ সাম্প্রতিক)
o আন্তর্জাতিক Abbreviations

o বিশ্বের বিখ্যাত সংবাদ সংস্থাসমূহ
o বিশ্বের বিখ্যাত/ উল্লেখ্যযোগ্য গণমাধ্যম ও জরিপ প্রতিষ্ঠান
o বিশ্বের বিখ্যাত লাইব্রেরী
o বিশ্বের বিখ্যাত যাদুঘর
o বিশ্বের বিখ্যাত গ্রন্থসমূহ
o ক্রীড়াজগৎ (অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ................... ইত্যাদি)

3★
o বিশ্ব পরিচিতি
o বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিশেষ অঞ্চল পরিচিতি
o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের/ স্থানের ভৌগলিক উপনামসসমূহ
o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের/ স্থানের প্রাচীন ও নতুন নাম
o বিভিন্ন দেশের উপনিবেশিক পরিচিতি
o এশিয়ার দর্শনীয় স্থান ও বস্তু
o বিশ্বের বিভিন্ন জলপ্রপাত, মরুভূমি ও অন্যান্য
o সমান্তরাল/ অক্ষরেখাসমূহ
o আন্তর্জাতিক সীমা চিহ্নিতকরন রেখাসমূহ
o তথ্য ভিন্নতা (কোথায়/ কোনটি)
o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ/ স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ
o বিশ্বের কয়েকটি কেলেঙ্কারির তথ্য
o বিশ্বের বিখ্যাত মিউজিয়াম ও পার্কসমূহ
o উপমহাদেশের বিখ্যাত স্থাপত্য ও নির্মাতা
o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা
o বিশ্বের বিভিন্ন গেরিলা সংগঠন
o বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরসমূহ
o বিশ্বের বিমান সংস্থাসমূহ ও দেশ
o বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব (কবি, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ)
o বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপাধি
o বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখ্যযোগ্য উপজাতি ও নৃগোষ্ঠী
o বিশ্বের বৃহত্তম, গভীরতম, উচ্চতম, দীর্ঘতম, ক্ষুদ্রতম।


2★
o প্রাচীন যুগীয় ও অন্যান্য দার্শনিক
o বিশ্ব ইতিহাসে বিভিন্ন ব্যক্তির নির্বাসন
o ভিন্নার্থক অর্থে কাছাকাছি শব্দ (আন্তর্জাতিক)
o কতিপয় শব্দসংক্ষেপ (আন্তর্জাতিক)

1★
o বিশ্ব জনসংখ্যা পরিসংখ্যান (বিভিন্ন দেশের অবস্থান)
o প্রাচীন সভ্যতাসসমূহ
o বিভিন্ন খেলার উদ্ভবের ইতিহাস ও উৎসস্থল
o বিভিন্ন দেশের জাতীয় খেলা
o বাজেয়াপ্ত কিছু সাহিত্যকর্ম
o বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনকাল
o বিশ্বের কতিপয় গ্রন্থ ও উৎসর্গ



গ.→ অন্যান্য Fundamental

5★
o বিভিন্ন শাস্ত্র/ তত্ত্ব/ ধারণা ও জনক
o বিখ্যাত চিত্রকর্ম ও চিত্রকর
o পরিবেশ


4★
o উক্তি ও প্রবক্তা
o এইডস

3★
o বিজ্ঞান পরিক্রমা
o কম্পিউটার বার্তা
o বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি

2★
o সময় পরিমাপ বিষয়ক: দশক, রজত জয়ন্তী, সুবর্ণ জয়ন্তী, হীরক জয়ন্তী, শতাব্দী, সার্ধশত।

1★
o বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও আবিষ্কারক।


DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

ঢাবি "খ" ইউনিটে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয় না যেসব ভুলের কারণে!

পরামর্শ!



ঢাবি তে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার মূল কারণই হলো সচেতনতা এবং স্বচ্ছ ধারণার অভাবহেতু কোচিং এর ফাঁদে পড়ে সময় নষ্ট করা এবং সেইসঙ্গে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে না পারা। আর কিছু ছোটো কারণও আছে। সব মিলিয়ে বেশ কিছু কারণ আছে। কারণসমূহ নিম্নরূপ:

১. নিজে ভালো ছাত্র বলে অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়া: আমি তো ভালো ছাত্র, আমার চান্স তো হবেই। এই ভেবে পড়াশুনায় সিরিয়াস না হওয়া। তারা এটা বুঝতে পারে না যে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার মতো নয় যে এখানে অল্প পড়ার মধ্যে থেকে প্রশ্ন কমন আসবে।

২. আগের মতো আরাম আয়েশে দিন কাটানো। কিন্তু ভার্সিটি ভর্তি প্রস্তুতির জন্য দৈনিক ০৮-১০ ঘন্টা পড়াশুনা করতে হবে এবং স্মার্টলি।

৩. স্মার্টলি পড়াশুনা না করা, দৈনিক ০৮ ঘন্টা স্মার্টলি পড়াশুনা করলেই চান্স হবে আর হাদারামের মতো করে দিনে ১৬ ঘন্টা পড়াশুনা করলেও চান্স পাওয়া সম্ভব না। এজন্যই আমি আমার প্রাইভেটের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম এক সপ্তাহ ধরে শেখাই কীভাবে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে হয়।

৪. কোচিং এর ফাঁদে পড়া: নামী দামী কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া, এবং এরূপ ধারণা করা যে আমি তো নামকরা কোচিংয়ে পড়ছি, মনেহয় এরা যা শেখাচ্ছে এই যথেষ্ট। কিন্তু আমি গবেষণা করে দেখেছি এদের ৪০-৪৮ টি শিট আর ইয়া মোটা গাইড বই হতে ঢাবি "খ" ইউনিটে ৩৫-৪০% এর বেশি প্রশ্ন কমন আসে না।

৫. আর একদল পাগল আছে যারা ঢাকায় আসে কোচিং করার জন্য। ঢাকায় কোনো কিছুই অন্য স্থানের চেয়ে বেশি ভালো পড়ানো হয় না; তারা বেশি ফি নেয় কারণ ঢাকায় বিল্ডিং এর ভাড়া ও টিচার খরচ বেশি এই জন্য। ঢাকায় সাধারণ ছাত্রদের জন্য কোনো ভালো কিছু নেই; সায়েন্সের উদ্ভাস ও রেটিনা ছাড়া অন্যসব কোচিং সেন্টারগুলো দুইটি কাজ করে— টাকার বিনিময়ে ভালো ছাত্রদের পরিচয় কিনে নেয় এবং তারা নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
আর এই ছাত্রদের ঢাকার পরিবেশে সেটআপ হতেই একমাস এর মতো সময় ব্যয় হয়ে যায়।

৬. ভালো বই না পড়ে শিট এর বিগত প্রশ্ন মুখস্থ করতে বেশি সময় দেওয়া। বিগত প্রশ্ন দেখে ধারণা নিতে হবে যে কেমন প্রশ্ন হয় কিন্তু এই বিষয়টা ঠিকমতো না বুঝে সময় নষ্ট করে লাভ নেই এটা বুঝতে হবে, কারণ এটা বোর্ডের পরীক্ষা নয় যে একই প্রশ্ন বারবার কমন আসবে।

৭. কৃষক না হয়ে ফসল ফলাতে চাওয়া: বেশিরভাগ ছাত্রই আছে যারা নিয়ম কানুন ও কৌশল না শিখে বিগত প্রশ্নের উত্তর কীভাবে হলো তা শিখতে চায়, কিন্তু এটা শিখে সর্বোচ্চ ওই প্রশ্নটির উত্তর করা সম্ভব। কিন্তু নিয়ম কনুন ও কৌশলগুলো শিখলে সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেটা করার মতো ধৌর্য এই ছাত্রগুলোর থাকে না।

৮. পেপার না পড়া: একদল ছাত্রের ধারণা পেপার এর কী দরকার, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়লেই তো হয়। কিন্তু এমন ৬০% ছুটখাট তথ্য আছে যেগুলো আমরা জানতাম না কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো কারণে পেপারে এসেছে এবং স্মার্ট ছাত্র হিসেবে তা জানা দরকার, আর এসব তথ্য এমন কোনো বিশেষ সাম্প্রতিক ইস্যু নয় যে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ তা আসবে, আর এসব পেপারে খুঁজতে গেলে একজন অনভিজ্ঞ ছাত্র তা অন্য দশটা অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে একাকার করে ফেলবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ভাইয়াদের সাহায্য প্রতিদিন নিতে হয় যা খুবই অসুবিধাজনক। পরীক্ষার্থীদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আমি 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট' সম্পাদনা করে আসছি।

৯. পেপার পড়তে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ধরতে না পেরে সময় নষ্ট করে অহেতুক জিনিস পড়া।

১০. সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা: পরীক্ষায় সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা মানে প্রতিযোগিতা থেকে ছিঁটকে পড়া। একজন ছাত্র হয়তো খুব কঠিন একটা প্রশ্নের উত্তর করলো যেটা বেশিরভাগ ছাত্রই ভুল করেছে কিংবা পারেনি বলে উত্তর দেয় নি। কিন্তু সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করাতে সে মাইনাস মার্ক পেয়ে অনেকের পিছে পড়ে গেল।
এজন্যই আমি এ বিষয়ে ৪-৬টি ক্লাসে এটার কৌশলই শেখাই যেন কিছুতেই সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল না হয়।

আমি ফ্রি ক্লাস দেই এজন্য যে আমার স্বভাব হলো মানুষের উপকার করতে আমার ভালো লাগে; কিন্তু মানুষ এটাতে সায় দেয় না। কারণ, বাঙালির স্বভাব হলো ভালো জিনিস ফ্রি দিলে নিবে না কিন্তু মন্দ জিনিস সস্তায় দিলে তা নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে..।

Note: আমার লেখা চুরি করার অভ্যাস যাদের আছে তারা কান খুলে শুনুন; এই লেখাটি ইলেক্ট্রিক মেথড কপিরাইটেড। এবার যদি আমার এই লেখাটি কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ কপি করে তাদের আর্টিকেল হিসেবে চালিয়ে দেয় তাহলে তাকে আমি ছাড়বো না, কপিরাইট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

© মোঃ মেহেদী হাসান
এমসিএএস গবেষক,
প্রতিষ্ঠাতা,
DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
 

মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬

বেরোবি'র কাশসমুদ্র!

ক্যাম্পাস


দূর থেকে দেখলে হয়তো বিল কিংবা জলাধার মনে হবে, আরেকটু এগোলে হয়তো মনে হবে সাদা চাদরে মোড়ানো এক স্বপ্নিল ভূমি। কিন্তু না, এটা আসলে বেরোবি'র কাশসমুদ্র। এই মৌসুমে বেরোবিতে শুভ্র সৌন্দর্য মেলে দিয়ে কাশফুল নয়নের প্রাপ্তি পূরণ করছে প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রেমিকদের। ছাত্র হল দুটির পশ্চিমে বিশাল ফাঁকা মাঠে এখন কাশফুলের সমারোহ। দেখে মনে হবে হয়তো পরিচর্যা করে আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু না, এমনিতেই হয়ে গেছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য; গিফট অব ন্যাচার।

আমারও হয়তো বেরোবিকে দেখে মাঝে মাঝে প্রকৃতির কবি জন কেটস হতে ইচ্ছে করে। এখন বেরোবির সৌন্দর্য সাদা কাশফুল, আর কয়েকদিন পর আসবে লাল কৃষ্ণচূড়া, আর আসবে বৃষ্টির পানিতে সতেজ হয়ে উঠা সবুজ গালিচা বিরুৎ উদ্ভিদের সমারোহ।
বর্ষায় বেরোবিতে যখন বিভিন্ন নিচু স্থানগুলোতে পানি জমে তখন বেশ ছবির মতো সুন্দর মনে হয় স্থানগুলো, রাতে ব্যাঙের ডাক তো আছেই।

বেরোবির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এদেশে খুব কমই আছে। এই সৌন্দর্যের কিছু অংশ তুলে ধরতেই ফেসবুকে খোলা হয়েছে "বিউটি অব বিআরইউআর" নামক পেজ।

বেরোবি মানে রঙ্গমঞ্চ, বেরোবি মানে সবুজ গালিচা, দেবদারুর অতিথিবরণে দাড়নো, কৃষ্ণচূড়ার পুষ্পতে অতিথি বরণ, কাশফুলের বিছানা, আছে জলাধার, ব্যাঙ্গের ডাক, শেষরাতে শেয়ালের হাক।
মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা "আমাদের ছোটনদী...হাটু জল...কাশফুল...শেয়ালের হাক..."।

সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে থাকতে থাকতে রোমান্টিক হয়ে যাওয়া আর ঘুমানোর পূর্বে বিছানায় মাথা রেখে ভালোবাসার মানুষকে এসএমএস দেওয়া: 
 
স্নিগ্ধ বিকেল, শান্ত রোদ, কুয়াশা ভেজা মধুর সকাল, জ্যোৎস্না মোহিত রাত, নিঝুম রাতের ঝুম বৃষ্টি, ব্যাঙের ডাক, পাখির গান, প্রজাপতির নাচ, আধারে জোনাকির আলো, পাকা আমের গন্ধ, পাহাড়ি ঝরনার শব্দ, রংধনুর সাতরং, গোলাপের সৌরভ, শরতের কাশফুল, সাগরের ঢেউ, মেহেদি রাঙ্গা হাত, দুষ্টু রাগ, অনেক অনেক
স্বপ্ন
আনন্দ
ভালোবাসা
ও প্রেমময় জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তোমাকে জানাই "শুভরাত্রি"।


বেরোবি এক স্বপ্নময় শিক্ষাভুবন।


- মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

ধন্যবাদ...।


রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে! কেমন অদ্ভুত মিল তাই না?

প্রথম আলোয় আমার প্রথম প্রকাশিত লেখা প্রথম পছন্দের মেয়েকে নিয়ে!
কী অদ্ভুত মিল!
আমি লিখলাম ঠিকই, কিন্তু প্রথম আলো তা ছাপালো একটু ভিন্নভাবে। আমার সম্পূর্ণ লেখাটাকে দুই ভাগ করে দুই শিরোনামে দুই অংশে ছাপালো। এই বিষয়টিতেই আমার একটি আক্ষেপ থেকে গেল। আমি লিখলাম হিস্টোরি, প্রথম আলো সেটাকে বানালো স্টোরি!

প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র "অধুনা" এর "মনের বাক্স" বিভাগে আমি যা লিখলাম এবং তারা যা ছাপালো দেখে নিন:

আমি‬ লিখেছিলাম:

তুমি কি ফিরে আসবে?

অন্তরা,
তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।
এখন আমি কী করবো?
ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।


প্রথম‬ আলো যা ছাপালো:

১. (পরের লেভেলে)

তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

তুমি কি বুঝতে পারো না গত এক বছর ধরে আমি তোমাকে একটা কিছু বলতে চেষ্টা করছি। হয়তো এতদিনে সুযোগ করে বলেও ফেলতাম কিন্তু ভার্সিটিতে পড়ি বলে তোমার মতো বেশি সময় গ্রামে থাকতে পারি না। তাই বাসায় গেলেই খুঁজে দেখি তুমিও সেই সময়ে বাসায় গেছো কি না। সর্বশেষ সুযোগ করে সেদিন তোমার বাসার সামনে গিয়ে উঠানেই তোমায় পেয়ে গেলাম কিন্তু তুমি একটু বাড়িতে ঢুকে বসতেও বললে না; কয়েকজনের সামনে রাস্তা থেকেই কথা বলে বিদায় করে দিলে।

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


২. (পূর্বের লেভেলে)

এখন আমি কী করবো?

ছোটবেলায় প্রথম তোমাকে ভালো লেগেছিল বলে আজ ১৭ বছর পরেও তোমাকে খুঁজি। এর আগে তোমাকে রংপুর শহরে খুঁজে বের করার চেষ্টায় বেশ কিছু পাগলামিও করেছি। ফেসবুকের অনেক গ্রুপে এই ছবিটি আপলোডও করেছি।
গ্রামের গঞ্জের সেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর সেই ক্লসেই ভালো লেগে যায় তোমায়। সেখানে পড়াশুনা করা সম্ভব হয়নি আমার। ফিরে এসে গ্রামের প্রাইমারীতে আবার পড়াশুনা শুরু করি। তাই আর এগোতে পারিনি। সেদিন আমি অনুভব করেছিলাম কত ছোট আমি!
সেদিনের সেই ছোট্ট আমি আজ কপিরাইধারী লেখক। 'খেলাঘর-২' নামক আমার একটি রোমান্টিক চিত্রনাট্য আছে যাতে আমি নায়িকা চরিত্রের নামটি তোমার নামই দিয়েছি। সেই চিত্রনাট্য থেকে ছবি বানানোর স্বপ্ন হয়তো এখন আমার কল্পনামাত্র। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত 'লাইফবোট' নামক অনলাইন ম্যাগাজিনটি আমি তোমাকেই উৎসর্গ করেছি।
আমার ভালোবাসা প্রকাশের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন।
তুমি কি ফিরে আসবে আমার কাছে?

-মেহেদী হাসান,
বেরোবি, রংপুর।

প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৬।

 ধন্যবাদ...

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

Syllabus for DU Kha Unit Admission Test

সিলেবাস!



[] বাংলা

ক.→ সাহিত্য
5★
o সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত পাঠ্যসমূহ এবং এর লেখক পরিচিতি, ব্যাকরণ ও ভাষাজ্ঞান অংশ।

3★
o বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

2★
o বাংলা পাঠ্যসমূহ (প্রকাশক, প্রকাশকাল ও প্রকাশিত বিশেষ লেখাসমূহ)


1★
o বাংলা ভাষা
o বাংলা ভাষার বংশগত শ্রেণীবিভাগ



খ.→ ব্যাকরণ ও ভাষাজ্ঞান
5★
o ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান
o সন্ধি
o সমাস
o উপসর্গ
o অনুসর্গ
o বাংলা বানানরীতি→ (শেখার জন্য)
o শব্দের শ্রেণীবিভাগ
o ধ্বনির পরিবর্তন
o শব্দ শুদ্ধিকরণ
o বাক্য শুদ্ধিকরণ
o ধাতু
o ক্রিয়াপদ
o ক্রিয়ার ভাব
o সমাপিকা, অসমাপিকা ও যৌগিক ক্রিয়ার প্রয়োগ
o শব্দ গঠন
o বাংলা শব্দ সম্ভার
o সমার্থক শব্দ
o বিপরীতার্থক শব্দ
o পারিভাষিক শব্দ
o অনুবাদ
o এক কথায় প্রকাশ।


4★
o প্রকৃতি ও প্রত্যয়
o নির্ধারক বিশেষণ
o সাপেক্ষ সর্বনাম
o বাক্য প্রকরণ
o কারক ও বিভক্তি
o বাচ্য
o বাগধারা
o প্রবাদ প্রবচন→(কিন্তু বুদ্ধি করে উত্তর করতে হবে)

3★
o দ্বিরুক্ত শব্দ
o বাংলা অনুজ্ঞা
o পুরুষ
o ক্রিয়া বিভক্তি

2★
o সংযুক্ত ব্যাঞ্জন বর্ণ
o বিরাম চিহ্ন
o বচন
o পদ ও পদের শ্রেণীবিভাগ
o ক্রিয়ার কাল
o ধাতুর গণ


1★
o বাংলা ব্যাকরণ ও এর প্রয়োগবিধি
o ধ্বনি প্রকরণ
o পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ
o সংখ্যাবাচক শব্দ
o ভাষারীতি রূপান্তর
o পদাশ্রিত নির্দেশক
o একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগ
o বাক্যে পদসংস্থাপনার ক্রম
o সমোচ্চারিত শব্দ
o পদ পরিবর্তন
o সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ
o বাক্য রূপান্তর
o উচ্চারণ
+ বিবিধ।


[] English

A.→Literature
5★
o Stories and Poems of the Text Book, Analysis of the works and writers.
o Grammar and Language knowledge based on the Text Book.


B.→Grammar and LK
5★
o Forms of word (Form Selection)
o Correct Sentence Selection
o Using Right Forms of Word
o Right Forms of Verb
o Subject-Verb Agreement
o Either__ or/ Neither__ nor
o Tag Question
o সঠিক ইংরেজি অনুবাদ
o Appropriate Preposition
o Linking Words
o Synonym
o Antonym
o Correct Spelling

4★
o Conditional Sentence
o Use of Articles
o Idioms and Phrases
o Group Verbs

3★
o Parts of Speech
o Noun (Countable and Uncountable Noun)
o Kinds of, Type of, One of
o Sentence Correction
o Classification of Verbs
o Sequence of Tense
o Inversion
o Nominal That Clause
o Embedded Question
o Conjunction in Details
o Infinitive, Gerund and Participle in Details
o Modal Auxiliaries
o Causative Verbs
o Comparison of Adjective & Adverbs
o Parallelism
o Agreement
o Subjunctives


2★
o Affix
o Pronoun in Details
o Adjective in Details
o Adverbs in Details
o Sentence Completion
o Analogy
o Classification of Clause
o Adjective Clause
o Reduced Adjective Clause
o Adverb Clause
o Reduced Adverb Clause
o Dangling Modifier
o General Preposition
o Number

1★
o Voice
o Degree of Adjective
o Gender
o Direct and Indirect Speech


বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬

তেতুলিয়ায় একদিন

ভ্রমণ!





এটা ছিল আমাদের বিভাগের পিকনিক। বেরোবি'র "ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব" বিভাগ ১৩ই মার্চ ২০১৬ তে যাত্রা শুরু করলাম তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। দুপুরের আগেভাগে তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে গাড়ি থামিয়ে রান্নার জিনিসপত্র নামিয়ে নেওয়া হলো এবং বাবুর্চিরা নেমে কাজে লেগে পরলো। সংগত কারণেই এ আয়োজনে আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী স্যার ছাড়া অন্য কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকতে পারেন নি; তিনি স্ত্রী সন্তান সহ ছিলেন। যাহোক ডাকবাংলো থেকে গাড়ি এবার বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্টে ছেড়ে দিল। গাড়ি বাংলাবান্দায় থামলে এবার আমরা নেমে জিরো পয়েন্টে গিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম।

জায়গাটা বেশ উন্নত লাগছিল। উন্নত রাস্তা, উন্নত পরিষ্কার ভবন আশেপাশে। ভারত হতে গাড়ি ঢুকছে বাংলাদেশে। বিজিবির একজন সদস্য ড্রাইভারের আইডেন্টিটি চেক করে করে ঢোকাচ্ছিলেন। এলাকাটা একদম ভিন্ন এবং চীন দেশের মতো মনে হচ্ছিল। অল্প কিছু দূরেই ভারতের কাঁটাতারের বেড়া এবং তার ওপাশে ভারতীয় বৈদ্যুতিক তারের খুঁটি ও টেলিযোগাযোগ লাইনের স্তম্ভ। ছবির মতো সুন্দর! ভালই লাগছিল। তবে এখানে অনেক শ্রমিক পাথর
ভাঙ্গার কাজ করছিল ইট ভাঙ্গার মেশিনে। মেশিনের ইয়ার ক্লিনার খুলে সেখানে পাইপ লাগিয়ে উঁচুতে তা সেট করে রাখা হয় পতকা টানানোর মতো করে।

সেখান থেকে ফিরে আমাদের মিশন শুরু হলো ডাকবাংলোর পাশের মহানন্দা নদীর উপরে চরের বালিতে হাঁটা। নদীর ওপাশে ভারতীয়দের চা এর জমি; নদীর মাঝামাঝি দিয়ে সীমানারেখা কারণ, ভারতীয়রা কাঁটাতারের বাইরেও কিছু অংশ নিজেদের সীমানা রেখে বেড়া দেয়। নদীর কিছু অংশে চর কিছু অংশে পানি। কোথাও হাটু পানি কোথাও প্রায় কোমর খানেক। আমাদের ৬ষ্ঠ ব্যাচের দুরন্ত ছেলেরা ব্যাগ হতে স্টক কাপড় বের করে পড়ে নিয়ে গোসল ও দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দিল। স্বচ্ছ পানি; যেখানে পানি হাটুখানেক বা তার নিচে সেখানে পানির নিচের বালি দেখা যায়। অনেকে কক্সবাজারে ছবি তোলার মতো ছবি তুলতে শুরু করে দিল আর এভাবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টার সদ্ব্যবহার করতে শুরু করলো। সেলফি, ফটো, হাটাহাটি দিয়েই এ সেশন শেষ হলো।

এরপরের সেশন শুরু হলো ভ্যানে উঠে। দূর থেকে দার্জিলিং ব্রিজ দেখে আর একটু সামনে এগোনো শুরু হলো। একটু দূরে গিয়ে ভারতীয়দের চা বাগানে যাওয়া হলো। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে গিয়েছিলাম, বেশিক্ষণ থাকা যাবে না ওখানে। একটি সরু নালা, তার এপাশে বাংলাদেশ ওপাশে ভারত। চা বাগানের চা গাছগুলোর আকৃতি দেখতে দারুণ সুন্দর লাগলো; বনসাই এর মতো। উপর থেকে দেখলে একমাপে ছেঁটে দেওয়া। নিচ থেকে গাছের গোড়াগুলো দেখতে চেষ্টা করলাম। শ্যাম্পুর এ্যাড এর মতো সব গাছের সুন্দর স্থাপন ও সুনিপুণ অবস্থান। অপরূপ সুন্দর!

সেখানে থেকে ফিরে আর কিছু দেখার বাকি থাকলো না। বিকেল চারটার দিকে তিন পর্বে ভোজনপর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় লটারি ড্রর মধ্য দিয়ে আমাদের আয়োজন শেষ। স্মৃতিতে স্থান করে নিলো একটি স্বপ্নিল ভ্রমণ।
বাই বাই তেতুলিয়া, সি মোর এগেইন উইথ মাই বিলাভড....।

-মোঃ মেহেদী হাসান
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

একদিন বহুদিন

Eakdin Bohudin
By
Mahadi Hasan




তখন আমাদের বাড়িটা ছিল অন্যরকম। আমার জ্যাঠার পরিবারটা তখন এই সাবেক বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে ছয়টা থাকার ঘর, তিনটা গোয়াল ঘর, ও দুইটা রান্নাঘর ছিল। তিনটা পরিবারের বাস। আমাদের পরিবারটাই ছিল সবচেয়ে ছোট; বাবা, মা আর আমি। আমার আপন জ্যাঠার পরিবারে তখন পাঁচজন লোক। আমার অন্য জ্যাঠার পরিবারেও পাঁচজন লোক। বাড়িটা সবসময় মানুষে সমাগম থাকত।
আমার আপন জ্যাঠার পরিবারটা আর আমাদের পরিবার মিলে একটা রান্নাঘর, একটা গোয়ালঘর, গোয়ালঘর আবশ্য দুইটা; একটা বড়, একটা ছোট; গাভী গাভীন হলে ছোটোটাতে রাখা হতো, একটা কূপ ও একটা নলকূপ। তখন আশেপাশের কয়েক বাড়ির মধ্যে কেবল আমাদের নলকূপ ছিল। কূপটা শানে বাঁধানো; অবস্য নলকূপ বসানোর পর সেটা ধীরে ধীরে বাড়ীর আর্বজনা ফেলে ভরাট করা হয়েছিল। কলের পাড়ে ছিল একটা পেয়ারা গাছ, একটা পেপেগাছ আর উত্তর পার্শে আমাদের থাকার ঘরের পেছনে ছিল একটা কাঁচা ল্যাট্রিন তার দেয়াল ছিল মাটির।
রান্নাঘরটা ছিল কলেপাড়ের সঙ্গে লাগিয়েই দক্ষিণ পাশে আর তার কিছুটা পেছনে একটা নর্দামা; বাড়ির কূপের নর্দামা, বেশ বড় ও চারদিক বাঁধানো; সেখানে পানি জমে থাকত, শেওলা জন্মাতো ও ব্যাঙ্গের লাফ দেখতে মজা পেতাম আমরা।
আমাদের বাড়ির পেছনে ছিল হোট বাঁশবন আর আমাদের চত্তর পেরিয়ে উত্তর পাশে আমার অন্য জ্যাঠার চত্তরে ছিল একটা বেশ বড় কাঠালগাছ আর তার পাশে সুউচ্চ দুইটি সুপারির গাছ। পাশের গ্রামের লোকেরাও দেখতে পেত সেই সুপারির গাছের মাথা।
আমাদের বাড়ির গেটটা দক্ষিণ দুয়ারী। বাড়ি থেকে বেরিয়ে উঠান, তারপর একটু পশ্চিমে গিয়ে সরু রাস্তা দক্ষিণে চলে গিয়ে মূল রাস্তার সঙ্গে লেগেছে। রাস্তাটা চতরাহাট হতে খালাশপীর হাট, অর্থাৎ আমাদের বাড়িটা রাস্তার পাশে। এই সরু রাস্তা থেকেই আমাদের বাড়ির সীমানা শেষ। তার পশ্চিমে বুড়ো করমতের আমগাছের বাগান ও পুকুর। পুকুরটা আমগাছের পশ্চিমে; পাশাপাশি কয়েকটি আমগাছ। আমগাছের নিচের জমিটা নিচু, বর্ষাকালে আমাদের বাড়ির পানি নেমে গিয়ে সেখানে পানি জমে থাকতো প্রায় হাটুখানেক। তখন আমাদের কয়েক বাড়ির শিশুদের আনন্দ আর ধরতো না। সেই পানির মধ্যে খেলতাম, দৌড়াতাম, কাগজের নৌকা এবং এটা সেটা ভাসিয়ে নিয়ে বেড়াতাম তার মধ্যে আর হইচই চলতো।
আমাদের বাড়ির পেছনে যে বাঁশঝাড়টা তার পাশে ছিল একটা জিগার গাছ। সেই জিগার গাছ হতে গাড় আঠা পড়ে ভরে থাকত মাটিতে। সকালবেলা ছোট ছোট মুরগির বাচ্চারা তাতে পড়ে গিয়ে নাজেহাল হত, উঠতে পারত না। সেই জিগার গাছের কাছে ও বাঁশঝাড়ের অপর পাশে আমার জ্যাঠার ঘরের পেছনে এই দুই জায়গায় থাকত দুইটা খড়ের গাদা। একবার আমি ছেলেদের সঙ্গে খেলতে খেলতে দৌড়াদৌড়ি করে এত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে খড়ের গাদা ও বাঁশঝাড়ের সন্ধিস্থলে ছোট সুন্দর জায়গায় শুয়ে পড়লাম খড়ের গাদায় হেলান দিয়ে এবং সেখানে ঘুমিয়ে পড়লাম। কে যেন দেখতে পেয়ে আমার মাকে এসে জানায়। আমার মা আমার কাছে গিয়ে আতঙ্কিত হয়ে আমাকে ডাক দিলেন তাতে ঘুম ভেঙ্গে আমি থতমত খেয়ে গেলাম।
ছোট বেলায় একবার আমার একটা মরণরোগ হয়েছিল। একটা রোগ চিনতে ভুল করে ডাক্তার দিয়েছিলেন কৃমির তরল ঔষধ। তাতে আমার রোগ অন্য পর্যায়ে পৌছে যায়। আমার সেই রোগ রূপ নিয়ে হয়ে যায় কিডনির রোগ। দিনদিন রোগ বাড়তে থাকে। কত চিকিৎসা কিন্তুু কিছুতেই কিছু হল না। শেষে একদিন আমার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেল। পেট ও সারা শরীর ফুলে গেল, শরীরের চামড়া ফেটে গিয়ে রস পড়তে লাগল। শেষে আর কোন চিকিৎসা বাকি থাকল না। বাড়িতে কান্নাকাটি উঠে গেল; কোরবানী মানস হলো। শেষে এলেন চতরার এক ডাক্তার। একটা ঔষুধ দিলেন; বললেন,“এই ঔষুধ খাওয়ার পর যদি ঘুমিয়ে পড়ে এবং রাত্রে প্রস্রাব করে তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা আছে, তা না হলে আর কোনো চিকিৎসা দেখছি না। আমি ঔষধ খেলাম, সারাদিনের যন্ত্রণা যেন বিলীন হয়ে গেল, গভীর ক্লান্তি এলো শরীরে, ঘুমিয়ে পড়লাম আমি। গভীর ঘুমের জগতে গেলাম। আমার বাড়ির সকলেই জেগে ছিলেন সেই রাতে আমাকে পাশে নিয়ে। অবস্থা বেগতিক শুনে নানাও এসেছিলেন, আমার পাশে বসেছিলেন। মাঝরাতের একটু পর আমার ঘুম ভাঙ্গল। চোখ খুলে দেখি পাশে আমার নানা, আমার বাবা, মা ও অন্যরা। আমি যেন মৃত্যুর জগৎ থেকে ফিরে এলাম। আমার এই চোখ খোলাতে সহস্র আশার প্রদীপ জ্বলে উঠল সকলের অন্তরে। আমাকে ঘুম থেকে তুলে দেখলেন ভিজে গেছে বিছানা প্রস্রাবে। সেই তখন কেটে গেছে আমার জীবনের একটি ভয়ঙ্কর অধ্যয়। তারপরও বহুদিন ধরে বুজুরি সিরাপ খেয়েছি সেই রোগ থেকে চিরমুক্তির জন্য।
বাড়ির লোকদের কথা বলি। আমার জ্যেঠাতো ভাই মেস্তাফিজ ও অন্য জ্যোঠার ছোট ছেলে এনামুল ভাই; তারা পাথারে যেতেন গরু, ছাগল, ভেড়াগুলোকে বাঁধতে, ঘাস খাওয়াতে। যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতেন আমাকে কিন্তুু আমি পড়তাম মহাযন্ত্রণায়; মোস্তা ভাই গরু-ছাগল বাঁধবেন একট জায়গায় আর এনামুল ভাই বাঁধবেন অন্য জায়গায়। তারা আমার সঙ্গে জেদ লাগাতেন আর আমি পড়তাম থতমতে; আমি কার সঙ্গে যাই, দু’জনের কেউ ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত যেতাম এনামুন ভাই এর সঙ্গে কারণ সে ছাড়ত না কিছুতেই। তখন যেতে যেতে মোস্তা ভাই বলতেন,“পুচকি পরে দেখিস মজা!”
গ্রামে আখ-মাড়াইয়ের সময় আসতো। আখের চাষ হত। সেই আখের গুড় তৈরী হত কত কঠিন পদ্ধতিতে। দিনরাত গরু দিয়ে কল ঘুরিয়ে আখের রস বের করা হতো। তাহা পাক করা হত কত বিরাট এক কড়াইয়ে; সে চুলাটা ছিল প্রায় একটা কুয়ার সমান আর প্রসারিত। তখন আমি সেসব দেখতাম আর অবাক হতাম।
মাঝে মাঝে বছরে দু’একবার আমার জ্যোঠাতো বোন ফিরোজা ঢাকা থেকে বেড়াতে আসতেন আমার ভাগ্নে-ভান্নিদের সঙ্গে নিয়ে। তখন আমাদের বাড়িতে প্রায় উৎসবের শুরু হত। তাদের সঙ্গে করে নিয়ে বেড়াতেন মোস্তা ভাই সঙ্গে থাকতাম আমিও। মাঠে যেতাম, শীতের সময় আখের খেত তখন কাটা শুরু হত; আখের জমি ভরে থাকত ফুলে ফুলে। আমরা সেই লম্বা ফুলগুলি কয়েকটি করে নিয়ে বাড়ি ফিরতাম।
বাড়ির পূর্ব পাশের থাকার ঘরটিতে থাকতেন মাহফুজ ভাই। সে লেখাপড়া করত। তার ঘরে থাকত ইয়া বড় ক্যালেন্ডার; বাংলাদেশের মানচিত্র তাতে। আমি এসব বুঝতাম না, আমি মনে করতাম পুরো বাংলাদেশটি দুইটা প্রাণি। উপরেরটা বড় প্রাণি এবং নিচেরটা ছোট প্রাণি; নিচেরটা মানে পার্বত্য চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার নিয়ে গঠিত অংশটি, এবং বলতাম বড় প্রাণিটি ছোট প্রাণিটিকে ধরে খাচ্ছে। আমার এই অদ্ভুত কথা শুনে মোস্তা ভাই আমাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতেন; বলতেন,‘পুছকি এটা বংলাদেশের ম্যাপ।
তখন বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে জমিতে পানি আটকানোর ও হাল দেওয়ার ধুম পড়ে যেত। পুরো মাঠে মানুষ কাজে মেতে উঠত। মোস্তা ভাই এর সঙ্গে মাঠে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে এসব দেখতাম। কত মানুষ সারা মাঠে কাদার মধ্যে কাজ করছে। কতগুলি চাষী হাল নিয়ে এসেছে। জমি কাদা করা হচ্ছে। চারদিক নীরব, শান্ত; মাঝে মাঝে কিছু চাষীর গরু তাড়ানোর ডাক“এই জোরে-ঐ-জোরে, হট-ডান-ডান”। এসব দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম।
আমি খুব ছোট থাকতে বাবা-মা একবার ঢাকায় গিয়েছিলেন আমার জ্যোঠাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে। যাওয়ার দিনে লঞ্চে অন্ধকার জমেছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম। একজন কালো কোর্ট ও কালো চশমা পড়া লোককে দেখেছিলাম, মনে পড়ে। অতিরিক্ত যাত্রি বহনে লঞ্চটা বিপর্যয়ে পড়ার মতো দশা। বাবা যমুনা নদীতে সারাটা সময় দোয়া পড়েছিলেন। সেদিন বাস ধর্মঘট ছিল। যমুনা পার হয়ে বাস পাওয়া যাচ্ছিল না। পূর্বের আসা বাসটি রাজনৈতিক মাস্তানরা অপর পাড়ে আটকে রেখেছিল। শেষে বহু কষ্টের পর একটা বাস পাওয়া গিয়েছিল সেটা আবার লোকজনে পরিপূর্ণ। আমাকে কোলে নিয়ে তাদেরকে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তারপর বহু কষ্টে ঢাকায় পৌছেছিলেন। ঢাকায় গিয়ে খেলতাম ফয়সালের সঙ্গে, সে আমার ভাগ্নে; বয়সে বড়, তার বেশ সুন্দর সুন্দর খেলনা ছিল। ঢাকায় আমাদের সঙ্গে মাফুভাই গিয়েছিলেন। তিনি বজ্জাতি করে আমার একটা ল্যাংটা ছবি তুলেছিলেন তাদের বাসার ক্যামেরায়। সেটা প্রিন্ট করে নেওয়ার পর সকলে দেখে হেসেছিল।
আমার জ্যোঠাতো ভাই মোস্তাফিজ ও এনামুল কাঠালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন। সকাল হলে যখন সূর্য উঠত তার কিছু পরে গ্রামের কিছু ছেলে রওয়ানা হত স্কুলে। কাঠালপাড়া প্রাথমিক স্কুল আমাদের গ্রাম থেকে পশ্চিমে এক কিলোমিটার দূরে। একদিন সেখানে পিকনিক হল। আমি এনামুল ভাইয়ের কাছ থেকে শোনামাত্র তার সঙ্গে জেদ ধরলাম আমিও সঙ্গে যাব। বৃষ্টির দিন, তাই তিনি আমাকে নিয়ে যেতে ইতস্ত বোধ করছিলেন কিন্তুু আমি ছাড়ছি না। এনামুল ভাই এর উপর ভার পড়েছিল ভাত পাকানোর হাড়ির। তাই তিনি একটি হাড়ি ও একটি প্লেট নিয়ে চললেন এবং আমিও তার সঙ্গে চললাম একটি প্লেট হাতে নিয়ে। পিকনিকের রান্না শেষ হল কিন্তুু খাওয়ার সময়ে বৃষ্টি শুরু হল। তখন সকলে স্কুলের ভেতরে ঢুকে খেতে লাগল। টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ছিল। যে যেটুকু নিয়েছিল তার বেশি দ্বিতীয়বার নিতে পারল না। বৃষ্টির মধ্যে সবাই বেঞ্চে উপরে পা তুলে বসে যে যার মত খাওয়া শেষ করল। ভাত ও মাংশ বেশি হয়েছিল; সেগুলো কিছু অন্যদের দিয়ে বাকিটা এনামুল ভাই ও অন্য একটা ছেলে মিলে হাড়ি ধরে নিয়ে বাড়িতে এলেন। আমি স্কুলে বেশি খাইনি, মাত্র একটু। বাড়িতে খেতে বললেও খেলাম না। আমাকে বললেন,“কিছু তো খাইলিই না শুধু শুধু জেদ ধরলি”। আসলে খাওয়া না আমি আনন্দিত হয়েছিলাম পিকনিক দেখতে পেয়ে। পিকনিক কি রকম তা দেখার জন্যই আমি উদগ্রীব হয়েছিলাম আর দেখতে পেয়ে নন্দিত হয়েছিলাম।
শৈশবের একটা বন্যার কথা আমার বেশি মনে পড়ে। যখন আমি ছোট ছিলাম; ১৯৯৮ সালের বন্যা। আমাদের বাড়ির উঠানে পানি জমেছিল। বাড়ির পেছনে এক হাটুর চেয়ে বেশি পানি; বাড়িতে এক বিঘত। ঘর ছেড়ে আমরা বাহিরে চৌকি ফেলে থাকতাম। ঘরের চারদিকে বন্যার জল, কখন বিপদ আসে বলা যায় না, তাই রাতে থাকা হতো বাহিরে সেই চৌকিতে। বাড়ির আঙ্গিনায় দু’তিনটা চৌকি, একটায় আমরা থকতাম আর অন্যগুলোতে আমার জ্যাঠার পরিবার। চারদিকে জল। সেই চৌকি থেকে দুইটা লম্বা বেঞ্চি মাথামাথি জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বারান্দার সঙ্গে। মাত্র ইঞ্চি খানেকের জন্য বারান্দায় পানি উঠেনি। আমি সেই বেঞ্চি দিয়ে ঘরে আসতাম বারান্দায় বেড়াতাম আবার চৌকিতে যেতাম। মা-বাবা আমাকে নিয়ে ভিষণ চিন্তায় ছিলেন ঐ সময়। চারদিকে জল। আমাদের ছিল প্রায় দশ মণ গম ও বিশ মণ ধান; ধান গমগুলো পাশের গ্রাম যাদবপুরে রেখে আসা হয়েছিল। গরুগুলো কাঠালপাড়া স্কুলে রেখে আসা হয়েছিল। সেখানে গরু দেখাশোনা করতেন আমার এক চাচা; সে আমাদের বাড়িতে কাজ করতো এবং সম্পর্কে চাচা ছিল। সেই স্কুলঘরে আরও বহু লোকের গরু বাছুর ছিল সেবার বন্যাতে, বহু দূর্ভোগ পোহতে হয়েছে সেবার।
মাঝে মাঝে যখন বেশি কাজ থাকতনা সেই অবসর সময়ে আমার মা আমাকে নিয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। নানার বাড়ি আমার কাছে মধুর লাগত। কয়েকদিন থাকার পর কোন এক রাত্রে ফজরের সময়ে আমার ঘুম ভেঙ্গে যেত। তাকিয়ে দেখতাম উপরে ছাদের নিচে টাঙ্গানো চান্দা, নকশী কাপড় দিয়ে তৈরী। মাকে জিজ্ঞেস করতাম “মা আমরা কখন বাড়ি যাব”। এরই মধ্যে হয়ত বাবাও যেতেন বেড়াতে। বাবা গিয়ে সাইকেলটা থামাতেন সেখানে যেখানে গোয়াল ঘরের দক্ষিণ-পূর্বের কোণটা ছিল।
গ্রামের মাঠের কথা বলি। তখন সবেমাত্র ইরি মৌসুমের ধানের চাষ শুরু হয়েছে। আমাদের একটা শ্যালো মেশিন কিনেছে। পুরো মাঠ মিলে কয়েকটা শ্যালো মেশিন। মাঠের প্রকৃতি বদলে গেল। ইরির মৌসুমে সারা মাঠ ফাকা, শীত, শীতল সাতাস। ক্রমান্বয়ে গ্রামে শ্যালো মেশিনের সংখ্যা বাড়তে লাগল; ইরি চাষও প্রসারিত হতে লাগল। আবার শীতের সময় কত সুন্দর দেখাতো শীতকালীন সবজি দিয়ে ভরা ফসলের মাঠটি। তিল, তিশি, সরিসার ক্ষেত্রে অপরূপ সৌন্দর্য ছড়াতো ফুলে ফুলে ভরে গিয়ে; তাতে থাকত কত প্রজাপতির বাহার। সুন্দর লাগত পেয়াজ ও মুলার ফুলগুলিও।
বর্ষণমুখর দিনের কথা বলি। আমি বর্ষা কি? বা বৃষ্টি কি তাহা যতদিন জ্ঞানে ছিল না ততদিন তো কিছুই বুঝতাম না, তবে যখন বুঝে এলো তখনকার প্রথম বৃষ্টির দিনের কথাটা বলি। সকালে বৃষ্টি শুরু হল, আমি দেখে আশ্চর্য হলাম এবং মনটা ভীষণভাবে খারাপ হয়ে গেল, ‘এটা কি হচ্ছে!’। পরে যখন ব্যাপরটা বুঝতে পারলাম তখন মনটা ভাল হয়ে গেল।
আমার জ্যোঠার বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে যাওয়ার সময়টা ছিল গৃস্মের শেষ ও বর্ষার শুরু। তারা তাদের ঘর থেকে টিন খুলে নিয়ে গেলেন এবং আমাদের একটি ঘরের টিনগুলোও অকেজো হয়েছে, তাই বাবা ঠিক করলেন দুইটা ঘরেই নতুন টিন দিবেন। তখন মিস্ত্রি এনে অন্য ঘরটারও টিন খুলে ফেললেন। সেদিন রাতে বৃষ্টি শুরু হল। আমাদের অন্য ঘরটা যেটায় আমি থাকতাম সেটার টিন ছিল ভাল, সেটার টিন খোলা হয়নি। টিন খোলা ঘরের ছাদের উপরে বাবা টিন বিছিয়ে দিয়েছিলেন; তবুও রাতে পানি ঢোকায় অন্য ঘরটাতে চলে আসতে হয়েছিল। তখন আমার ছোট ভাইটা ছিল কোলের ছেলে। আমার মা ছিল তাকে নিয়ে মহাসমস্যায়।
ঋতুচক্রে শীত আসে। শীতের সময়ে বাড়ির সকলে মিলে আগুন জ্বালিয়ে তার পাশে বসে গল্প শুরু হত। এসময় গরু চুরি হত; কোথায় কোনদিন রাতে কার গরু চুরি হয়েছে তার গল্প, হাটে কোন জিনিসের বাজার কত গেছে তার গল্প, কার কোন ফসল কেমন হয়েছে তার গল্প, আরও কত গল্প। তারপর রীতি হয়ে উঠতো সকাল ও দুপুর রোদে বসে ভাত খাওয়া। শীতে জমত পিঠার উৎসব; নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা আরও কত পিঠা খাওয়া হত।
আমাদের বাড়িতে থাকার ঘরকটা ছাড়া বাকি ঘরকটা এবং আশেপাশের বাড়ির সকল ঘর ছিল খড়ের চালার। হেমন্তে যখন ধানের কাজ শেষ করার পর চারদিক ঘর মেরামতের ধুম পড়ত তখন আমাদের এক নতুন অনুভূতি জাগত। হেমন্তে নবান্ন উৎসব হত; মিলাদ পড়ানো হতো বাড়ি বাড়ি। কত সুন্দর লাগত সেই মিলাদের সুর। নীল-কোমর নামে যে ধানটি তখন চাষ করা হত তার নতুন ভাতের সুগন্ধে ঘরদোর বিমোহিত হতো। আর সেই নবান্নের পায়েশ কত মধুরই না ছিল।
আমাদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে তার কথা বলি। সেটা ছিল কাচা রাস্তা। রাস্তায় জমে থাকত প্রচুর ধুলো। আমরা ধুলো দিয়ে খেলতাম। আবার বর্ষাকালে সেই রাস্তায় কাদাও হতো প্রচুর। একবার এক কালবৈশাখির প্রবল বর্ষনে সেই রাস্তার সব ধুলো এমনভাবে উড়ে গিয়ে ও বৃষ্টিতে ধুয়ে নিচে নেমেছিল যে পরের দিন সকালে রাস্তাটা ছিল ফাটা। সেই রাস্তাটাকে সেবারেই আমি জীবনে একবার ধুলাশূন্য দেখেছিলাম; সেদিন চারদিকটা নতুন মনে হয়েছিল। সূর্য দেখা গিয়েছিল একটু দেরিতে কিন্তুু সেই সূর্যও যেন ছিল নতুন সূর্য।
প্রকৃতির বুকে বসন্ত আসে, কোকিল কুহুকুহু ডাকে। চারদিক ফুলে ফুলে ভরে যায়। শীতে গাছের ঝরে যাওয়া পাতাগুলো জেগে উঠে। সবুজের সমারোহে চারদিক ভরে যায়। ফুলের সুবাসে চারদিক বিমোহিত হয়। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ, ঝিঝির মোহিত গুঞ্জন।
আমাদের অত্র এলাকার মধ্য একটা পুরাতন মেলা ছিল বৌ-বান্নি মেলা। পূর্বে নাকি সেখানে বৌ বেচাকেনা হত সেই থেকেই নাকি এই নামকরন। একবার বাবা যাবেন বৌ বান্নি মেলায়; আমি জানতে পেরে ধরলাম জেদ, আমিও যাব। শেষ পর্যন্ত আমাকে না নিয়ে পারলেন না। বৌ-বান্নি মেলা যেখানে শুরু হয় তার পাশেই আমার বাবার মামার বাড়ি। বাবার ইচ্ছা ছিল সেখানে থাকবেন কিন্তুু আমার জন্য থাকতে পারলেন না। আমি জেদ ধরলাম বাড়ি আসব।
সেবার মেলা থেকে কাঠের তৈরী একটা খেলনা ট্রাক এনেছিলাম। সেটা দিয়ে রাস্তার ধুলা, এটা সেটা বহন করে খেলতাম। সেটার সামনে সুতা লগিয়ে টেনে টেনে নিয়ে বেড়াতাম।
আমি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি। একদিন স্কুলে গেলাম বাবা-মা এর চাপে। স্কুলে না যাওয়ার জন্য পূর্বে কয়েকদিন পেটনও খেয়েছি, বকা খেয়েছি তো বহুত। অবশেষে স্কুলের প্রতি আমার অনুরাগ জন্মিল। আমি নিয়মিত স্কুলের ছাত্র হয়ে গেলাম। কত হাসি-কান্না নিয়ে চলতে লাগল আমার শৈশব। গ্রামের এক প্রান্তে প্রাইমারি স্কুল। স্কুলে একবার বন্যার পানি উঠেছিল। ঘরের ভেতর এক হাটুর মত পানি। তখন আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল কয়েকদিন। বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘেরা স্কুল, পথের ধারে, সামনে ধানের জমি, স্কুলের চারপাশে কিছু ইউক্যালিপটাস বৃক্ষ। পতাকা উড়ত পতপত করে, লাল সবুজের পতাকা।

আমি গ্রামের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলতাম দৌড়াদৌড়ি, লুকোচুরি ইত্যাদি। তবে আমার এসব খেলার শুরু স্কুলে পড়ার পড় থেকে, তার আগে আমি একাই খেলতাম খেলনা দিয়ে। ফিরোজা আপাও আমাকে বেশ কিছু খেলনা দিয়েছিলেন।
আমাদের বাড়ি থেকে পূর্বে রাস্তার দক্ষিণ পাশে আমাদের যে বাঁশের বাগানটা সেটা ছিল আমাদের আবাদী জমি। আর তার পশ্চিম পাশে পাশাপাশি দুটো আমগাছ। আর গাছদুটোর দক্ষিণ পাশে আমার দাদা-দাদীর কবর। সেই একটা আমগাছের কারণে অন্যটার নাম বদলে গিয়েছিল। একটা ছিল কাচামিঠে; ফলে তার আম খাওয়া জুটত না, সারাদিন লোকের একটাই কাজ, সেই আম পাড়া। পরে সেটা কাটা হয়েছিল কিন্তুু সেটার কারণে পাশের গাছটার নাম যে ‘ট্যাঙ্গ্যা’ হয়েছিল তা আর পরিবর্তন হয়নি, অথচ কত সুন্দর মিষ্টি সেই গাছের আম। কিন্তুু গাছটাতে গত কয়েক বছর হল আর আম ধরছে না। জমিটাতে ফসল হত না মানুষের অত্যাচারে; তাই আমরা সেটাতে বাঁশ বাগান করেছি কয়েক বছর হল। বাশঝাড় বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে। আমার দাদা-দাদীর কবরটা পাকা করে বেধে দেওয়া হয়েছে অল্প কিছুদিন হয়। তার পাশে দাড়িয়ে আছে আমগাছটা অন্য সঙ্গী গাছটাকে ছেড়ে; যার কারণে আজ তার ঘাড়ে মিথ্যা অপবাদ সে আজ নেই তাই একা দাড়িয়ে আছে তাকে হারিয়ে।
আমি বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও তেমন যেতাম না তাই আমার জ্ঞান ছিল সীমিত। শৈশবে একদিন বাবার সঙ্গে গেলাম হাটে। হাট থেকে ফেরার সময় আমাকে সহ খরচ রেখে বাবা সাইকেল আনতে গেলেন গ্যারেজে। বাবা আসতে দেরি করছিলেন। এ সময় কে যেন একজন আমাকে বললেন,“তোর বাপ তোকে রেখে বাড়ি চলে গেছে”। আমি ভাবলাম গ্যারেজের পাশে যে বড় শস্য গুদামটি আছে, ইয়া বড় তালা তার, তাতে হয়ত বাবাকে আটকে রেখেছে। আমি কান্না জুড়ে দিলাম। বাবা এসে আমাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,“বাবা, কঁদছেন কেন?” মুখ তুলে তাকিয়ে আমি চমকে গেলাম, বাবা এসেছেন!
আমি ছোটবেলা থেকেই গল্প শুনতে ও বলতে ভালবাসতাম। এটি ছিল আমার প্রিয় কাজগুলোর একটি। আমি কোন গল্প একবার শুনলেই তা পরিস্কারভাবে মনে রাখতে পারতাম। পরে তা লোকজনদের সুনাতাম মধুর সুরে। গ্রামের চৌমাথায় কয়েকটি টিনের তৈরী দোকান ছিল। সেখানে বটগাছের তলায় আমি গল্প বলতাম। আমার বলা গল্প শোনার জন্য লোকজন চারদিকে গোল হয়ে বসতো; আমি থাকতাম মাঝে দাড়িয়ে নয়ত বসে। সকলে মুগ্ধ হয়ে আমার উপস্থাপনা শুনতো। হঠাৎ একদিন মাথায় এক ভিন্ন বুদ্ধি এলো; আমি গল্প শোনাতে শর্ত জুড়ে দিলাম, কিন্তুু তারা ভিন্ন বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ভয় দেখিয়ে, চালাকি করে তা পন্ড করে দিল।
শৈশবে আমরা খেলানোর জন্য একটা কাজ করতাম। একটা কলার গাছের লম্বা টুকরোকে মাটির নিচে কিছু অংশ পুতে দিয়ে তা কোমর খানেকের চেয়ে একটু নিচু করে তার উপরে আর একটা লম্বা কলাগাছের টুকরোকে আনুভুমিকভাবে রেখে তার মাঝে ও উলম্বটির মধ্যে সেই খুটি পুতে দিতাম। তারপর আনুভুমিক অংশটির দু’পাশে দুজন বসে থাকত আর দুজন সেটাকে ঘোরাত। দুজন বসে থাকত ও দুজন ঘোরাত, পালাবদল করে এই খেলা চলত। একে বলা হতো চরকি। পাশের বাড়ির রাজু ভাই ছিল আমার চেয়ে বয়সে বড়। সে এসবের নেতৃত্ব দিত; নতুন নতুন খেলা সে আমদানি করত আর আমাদের নিয়ে সেসব খেলায় মেতে উঠত।
আমাদের গ্রামটা দুই পুলের মাঝখানে। গ্রামের মাঝের রাস্তার পূর্বে কড়িতোলা পুল যা এখন ব্রিজ আর পশ্চিমে বটেত্তল পুল। সেই বটেত্তলে বর্ষার সময়ে কত ছেলেরা সাঁতার কাটতেন, দৌড় ঝাপ দিতেন, ছুল খেলতেন। আমাকে সঙ্গে নিয়ে বাবা সেই পানি দেখাতে নিয়ে যেতেন।
সেরূপ এক বর্ষায় পাশের বাড়ির মেয়ে তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী লাইজু কড়িতোলার পানিতে পড়ে ডুবে মারা যায়। তার পরিবার অনেক কাঁদে এবং আস্তে আস্তে তা শামসুর রাহমানের ‘একটি ফটোগ্রাফ’ কবিতার মতো ফল পায়।
এভাবে-? সময় কাটে, একসময় আমি হয়ে যাই প্রাইমারি স্কুলের ক্লাসের বেস্ট বয়, স্বপ্ন এগোয়!
জীবনের গল্প ফুরোবার নয়-----------।

শৈশব ঝাপসা হলেও মধুর, যৌবন পরিস্কার হলেও নিরস।